বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নূপুর সমর্থকদের টার্গেটে বিচারকও

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২২ ২৩:১৭

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, ‘বিচারকদের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বিচার ব্যবস্থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়, যেখানে আইন আসলে কী বলছে তার বদলে মিডিয়া কী করছে, তা নিয়ে ভাবতে হয় বিচারকদের৷ এটি আইনের শাসনের বড় ক্ষতি।’

মহানবীকে (সা.) নিয়ে আপত্তিকর বিজেপির এক শীর্ষ নেতার মন্তব্যের জেরে ভারতজুড়ে চলছে তোলপাড়। ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্রের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছে নূপুর শর্মা।

৩৭ বছরের নূপুরের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এফআইআর হয়েছে। সব অভিযোগ নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন জানালে সর্বোচ্চ আদালত তার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেয়।

সুপ্রিম কোর্টে বিচারক জে বি পারদিওয়ালা মহানবীকে (সা.) নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত তার। আরেক বিচারক সূর্য কান্তও একই মনোভাব ব্যক্ত করেন।

পর্যবেক্ষণে বিচারকরা এও প্রশ্ন করেছিলেন, কেন নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা নূপুরকে ‘সারা দেশে আবেগ প্রজ্বলিত করার’ জন্য দায়ী করেছিলেন।

এর পরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে ওঠে নূপুরের সমর্থকরা।

রোববার এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নজরে আনেন বিচারপতি পারদিওয়ালা। বলেন, ‘বিচারকদের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

‘বিচারকদের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বিচার ব্যবস্থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়, যেখানে আইন আসলে কী বলছে তার বদলে মিডিয়া কী করছে, তা নিয়ে ভাবতে হয় বিচারকদের৷ এটি আইনের শাসনের বড় ক্ষতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের অধীনে আইনের শাসন রক্ষায় সারা দেশে ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

‘আধুনিক প্রেক্ষাপটে বিচার প্রক্রিয়ায় একটি অযাচিত হস্তক্ষেপ হলো ডিজিটাল মিডিয়া।’

বিচারপতি পারদিওয়ালা এ সময় উদাহরণ হিসেবে অযোধ্যা মামলাকে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ওই মামলায় জমি এবং নাম নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে চূড়ান্ত রায় দেয়ার সময় ইস্যুটি রাজনৈতিক মাত্রা পেয়েছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর