ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে একটানা অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত; এই পূর্বাভাস সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার শঙ্কা বাড়িয়েছে।
কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি, বন্যার পানি নদ-নদী ও পাহাড়ি উপত্যকা দিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ডুবে গেছে পুরো এলাকা। কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানুষ। সাহায্যের জন্য হাহাকার বাড়ছেই।
রোববার সকালে পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে আসাম ও মেঘালয়ে।
এর ফলে ওই দুই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার বিভিন্ন উপজেলায় যে বন্যা চলছে তা শুধু দেশের বৃষ্টিপাতের ওপরই নির্ভর করছে না। কারণ এই অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি ছাড়াও পাহাড়ি ঢলের পানিও প্রবেশ করছে। এই ঢল নেমে আসছে আসাম ও মেঘালয় থেকে।
আসাম-মেঘালয়ের প্রধান নদীগুলোতে পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। প্রচুর বৃষ্টির কারণে দুই রাজ্যের অনেক স্থানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, আসামের ২৮টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত। এরই মধ্যে অন্তত ১৯ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। মারা গেছেন অন্তত ১২ জন। মেঘালয় প্রশাসন বলছে, রাজ্যে বন্যায় মারা গেছেন ১৯ জন।
আসামে এক দিনে ৮১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ডের দুই দিন পরই শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে ৯৭২ মিলিমিটার, যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে আসামের তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদের পানি অনেক এলাকায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।