ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, লেভিভ, মারিওপোলসহ প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে চলছে যুদ্ধ। পশ্চিমা নিন্দা ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে যুদ্ধ থেকে বিরত করতে পারছে না।
ইউক্রেন পরিস্থিতির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যা জানাচ্ছে বিবিসি:
- ইউক্রেনের শহর লেভিভের বিমানবন্দরের কাছে একটি রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে রুশ গোলা। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শহরটির অবস্থান ইউক্রেনের পূর্ব-দক্ষিণে। পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৭০ মাইল দূরেই এর অবস্থান।
- যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন কোনো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি রুশ সেনারা। আকাশে পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করতে না পারার ফলে অগ্রসরমান বাহিনীকে পর্যাপ্ত খাদ্য ও জ্বালানির যোগান দেয়া যাচ্ছে না।
- গোলা নিক্ষেপ চলছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে। তবে শহরটি এখনও ধরে রেখেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
- মারিওপোল শহরে তীব্র আঘাত চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। এখন পর্যন্ত শহরটি থেকে নিরাপদে ৩০ হাজার নাগরিক বেরিয়ে যেতে পেরেছে। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ শহরে আটকে আছে।
- বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আরও প্রায় ১ হাজার মানুষ রাজধানী কিয়েভ ছাড়তে পেরেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপল, সুমিসহ প্রধান শহরগুলোতে লড়াই চলছে।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।