ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে ইউরোপীয় মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে দেশটি।
সিএনএনের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার তেল রপ্তানি আটকে দেয়ার চিন্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে সমন্বিতভাবে এগোতে আমরা ইউরোপের অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি।
স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও প্রতিবেশী লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিককে (এলপিআর) রক্ষার কথা বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সালে কিয়েভে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় অঞ্চল দুটি।
হামলার যুক্তি হিসেবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশটি চায় ইউক্রেনের ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ায় বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর বহুজাতিক অনেক কোম্পানি।