গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে এক ফোনালাপে পুতিন জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য পুরো ইউক্রেন। এদিকে রুশ হামলা থেকে ইউক্রেনের নাগরিকদের রক্ষায় ন্যাটোর প্রতি ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যদিও বড় সংঘাত শুরুর আশঙ্কায় এমনটি করতে নারাজ ন্যাটো।
এবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সর্বোচ্চ পদাধিকারী সিনেটর মার্কো রুবিও সিএনএনের এক টকশোতে বলেন, ‘নো-ফ্লাই জোন’ মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া।
রুবিও বলেন, ‘সবাইকে বুঝতে হবে নো-ফ্লাই জোন মানে কী। এটি এমন কোনো নিয়ম নয় যে আপনি চালু করবেন আর সবাই তা মেনে চলবে। এটি রুশ ফেডারেশনের বিমানকে গুলি করে নামানোর ইচ্ছাপোষণ।’
এ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধকে সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, সেখান থেকে তেল আমদানি করার ‘কোনো অর্থ নেই’।
রুবিওর সঙ্গে একমত কানেকটিকাটের ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস্টোফার মারফি। তিনি মনে করেন, ‘নো-ফ্লাই জোনের’ অর্থ হলো বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু শক্তির দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়া।
তবে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট সিনেটর জো মানচিন জানিয়েছেন, তিনি ‘নো-ফ্লাই জোন’ পরিকল্পনা বাতিলের পক্ষপাতী নন।
এর আগে ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবের কারণে মারা যাবে।’
ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্রও।
হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ‘ভালো কোনো পরিকল্পনা নয়।’ এ ধরনের কোনো কিছু কার্যকর করতে গেলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।