আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৪০০ দিয়ে ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
হামলা শুরুর দ্বিতীয় দিন ২৫ ফেব্রুয়ারি কিয়েভের আকাশে ইউক্রেনের একটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেশটি।
মিলিটারি ওয়াচ নামের সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ থেকে এস-৪০০ দিয়ে নামানো হয় ইউক্রেনের বিমানটি। ভূপাতিত বিমানের পাইলট ওলেক্সান্ডার ওক্সেনচেঙ্কো নিহত হন।
সোভিয়েত আমলে যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ওক্সেনচেঙ্কো। ইউক্রেনে প্রশিক্ষিত পাইলট কম থাকায় এ যুদ্ধের সময়ে তাকে আকাশে বিমান ওড়াতে হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ৫৩ বছর বয়সী ওই পাইলটকে ‘ইউক্রেনের বীর’ উপাধি দেন।
রাশিয়ার দাবি, সুখোই-২৭ বিমানটি নামিয়ে আনার মধ্য দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে এস-৪০০। এর আগে আর কোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে বিমান ভূপাতিত করতে পারেনি।
ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের দাবি, এটি ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু নিয়ে কাজ করতে পারে।
আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকি উপেক্ষা করে এস-৪০০ কেনে তুরস্ক ও ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের চির প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র চীনের কাছেও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি কেনার পর তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ভাবছে আমেরিকা।
সোভিয়েত আমলে নির্মিত সুখোই-২৭ চতুর্থ প্রজন্মের সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। শব্দের চেয়ে দ্রুতিগতিতে এটি ছুটতে পারে, তবে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ও রাডারকে ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে বিমানটির।