ইউক্রেন প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক ডার্টি বম্ব বা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছিল বলে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো। অবশ্য ইউক্রেন এ দাবি অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া দাবি করেছে, ওই বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল ইউক্রেন। অবশ্য এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি সংবাদমাধ্যমগুলো।
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার এই যুক্তিকে একটি অজুহাত হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা নাকচ করে দিয়েছে। মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং কিয়েভকে ভারী সামরিক এবং অন্যান্য সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে তারা।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাস, আরআইএ এবং ইন্টারফ্যাক্স দেশটির ‘একটি সংস্থার প্রতিনিধি’র বরাতে লিখেছে, ইউক্রেন ২০০০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।
আর ইউক্রেনের সরকার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের মতো কোনো দেশ হওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। ১৯৯৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেনি।
টানা কয়েকদিন ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনও।
যুদ্ধে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভবন ও স্থাপনাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। বাস্তুচ্যুত হচ্ছে বহু মানুষ। যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে এরই মধ্যে দুই দফা ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠকে বসলেও কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এর মধ্যে একবার পারমাণবিক হামলার হুমকিও দিয়েছে রাশিয়া।
সার্বিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিকসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেনে অস্ত্র ও অস্ত্র কিনতে অর্থও পাঠিয়েছে বেশ কিছু দেশ।