সামরিক অভিযান শুরুর পর দশ দিনে রাশিয়ার ১০ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এর অর্থ হলো দিনে গড়ে ১ হাজার সেনা হারিয়েছে রাশিয়া।
দেশটির জেনারেল স্টাফ অফ দ্য আর্মড ফোর্সেসের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুরে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, যুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি সেনা হারানোর পাশাপাশি ২৬৯টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে রুশ বাহিনীর। এর বাইরে ১০৫টি আর্টিলারি সিস্টেম, ৫০টি এমএলআরএস, ১৯টি বিমানবিধ্বংসী ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, ৩৯টি বিমান, ৪০টি হেলিকপ্টার, ৪০৯টি মোটরযান/যানবাহন, দুটি লাইট স্পিডবোট, ৬০টি জ্বালানি ট্যাংক ও তিনটি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
পোস্টে বলা হয়, যুদ্ধসংক্রান্ত ডেটা আপডেট করা হচ্ছে। যুদ্ধের মাত্রাধিক্যের কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ বেশ জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও প্রতিবেশী লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিককে (এলপিআর) রক্ষার কথা বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সালে কিয়েভে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় অঞ্চল দুটি।
হামলার যুক্তি হিসেবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশটি চায় ইউক্রেনের ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।