ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের নিষেধাজ্ঞার ফলে রুশ ধনীরা অন্তত ৩২ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন।
নতুন বছরে আয় বাড়ার কথা থাকলেও এমন নিষেধাজ্ঞার ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন রুশ ধনীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর তালিকায় থাকা রাশিয়ার অন্যতম ধনী গ্যানাডি টিমচেঙ্কোর আয় কমেছে। দেশটির জ্বালানি শক্তি ও বিভিন্ন ব্যবসায় তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার অন্যতম গ্যাস উৎপাদক প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের কর্ণধার এই ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ ৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার।
নোভেটেকের আরেক অংশীদার, লিওনিড মিখেলসন চলতি বছর খুইয়েছেন ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এখন তার সম্পদের পরিমাণ ২৬ দশমিক ২ বিলিয়ন।
জ্বালানি প্রতিষ্ঠান লুকোয়েল চেয়ারম্যান ভ্যাগিট আলেকপেরভের ভাগ্য একই সময়ে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার কমে হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেচাকেনা কমেছে ১৭ শতাংশ।
দেশটির ২৩ শীর্ষ ধনীর মোট সম্পদের পরিমাণ গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৩৭৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরে তারা খুইয়েছেন ৩২ বিলিয়ন ডলার। এখন তা কমে হয়েছে ৩৪৩ বিলিয়ন ডলার।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে স্বাধীন দুটি দেশ হিসেবে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়ার স্বীকৃতির পর চলমান সংকট তীব্র হলে দেশটির শেয়ার বাজারে ভয়াবহ ধস নামে। যার ফলে সরাসরি আক্রান্ত হয়েছেন এসব ধনী।
এ ছাড়া রাশিয়ার ধনীদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুশ ধনকুবেরদের বৈদেশিক বাণিজ্য। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য পাঁচটি শীর্ষ রুশ ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও শীর্ষ ধনী গ্যানাডি টিমচেঙ্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে রুশ বাণিজ্যে।