ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে রাশিয়ার। ইউক্রেনে বিদ্রোহীশাসিত অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো এখনও পশ্চিমাদের সঙ্গে বিরোধের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে রাশিয়ার স্বার্থ ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছুতে ছাড় দেবে না রাশিয়া।
দেশটির ডিফেন্ডার অফ ফাদারল্যান্ড ডে উপলক্ষে দেয়া একটি ভিডিওবার্তায় তিনি জানান, ‘সৎ সংলাপের’ জন্য প্রস্তুত রাশিয়া।
তিনি এ সময় রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতিরও প্রশংসা করে বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত সেনারা জাতীয় স্বার্থের জন্য দাঁড়াবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টার স্যাটেলাইট চিত্রগুলো পশ্চিম রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি নতুন সেনাক্যাম্প স্থাপন করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে বেলারুশের একটি বিমানঘাঁটিতে শতাধিক সামরিক যান দেখা গেছে।
রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ অধ্যুষিত ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনে ‘শান্তি বজায় রাখতে’ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার এ কর্মকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণাটি ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিনা প্ররোচনায় লঙ্ঘন’ এবং এ ঘটনায় জাতিসংঘ ইউক্রেনের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ডাককেও সমর্থন করেছে দেশটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী ও কার্যকর’ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। সর্বশেষ জাপানও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
যখন ইউরোপে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ঝুঁকি, ইউরোপীয় অঞ্চলে জ্বালানি সংকট বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যখন পশ্চিমা অধিকাংশ দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সেই সময়ই ইমরান খান ও পুতিনের বৈঠক হতে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের মূল ভূখণ্ডে যুক্ত করে রাশিয়া। সে সময় থেকেই পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। ইউক্রেন সেনা ও মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের সংঘাতে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।