বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশ্চিমা শঙ্কাই সত্যি হলো

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৩৪

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘অঞ্চল দুটি স্বাধীন হবে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সোমবার দোনেৎস্কের নেতা ডেনিস পুশিলিন ও লুহানস্কের লিওনিড পাসেচনিকের চুক্তি হয়েছে। রাশিয়া ও নতুন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তার চুক্তি হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী আমরা তাদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমি মনে করি সবাই এটা বুঝবে।’

পশ্চিমা দেশগুলো মাসখানেক ধরেই সতর্ক করে আসছিল যে ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আর এই হামলাকে বৈধ করার জন্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়ে বসতে পারে মস্কো।

পশ্চিমাদের সেই শঙ্কাই সত্যি হলো। সোমবার এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিনের এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই রাশিয়ার চোখে স্বাধীন দেশ দুটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। নতুন দুই দেশের নাম এখন দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক।

রাশিয়া টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘অঞ্চল দুটি স্বাধীন হবে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সোমবার দোনেৎস্কের নেতা ডেনিস পুশিলিন ও লুহানস্কের লিওনিড পাসেচনিকের চুক্তি হয়েছে।

‘রাশিয়া ও নতুন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তার চুক্তি হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী আমরা তাদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমি মনে করি সবাই এটা বুঝবে।’

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সোমবার পূর্ব ইউক্রনের অঞ্চল দুটিকে সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। জানান, এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা আগেই নেয়া উচিত ছিল।

তিনি বলেন, ‘এটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পূর্ব ইউক্রেনের বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাতের প্রতিক্রিয়া। কিয়েভ শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী নয়। তারা সেখানে ব্লিটজক্রেগ (ঝটিকা অভিযান) শুরু করতে চায়।’

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনাদের সংঘাত বেড়েছে। এ জন্য একে অপরকে দুষছে বিবদমানরা।

এ অবস্থায় দোনেৎস্ক অঞ্চলের নেতা পুশিলিন ও লুহানস্ককের পাসেচনিকের স্বাধীনতার জন্য পুতিনের দারস্ত হন। এর আগে নিরাপত্তা বিবেচনায় অঞ্চল দুটির বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে ফেলেন তারা। ইউক্রেনীয় সেনাদের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সক্ষম নারী-পুরুষদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনাও দেন।

যদিও এমন কিছুর পরিকল্পনা কিয়েভের নেই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলেক্সি দানিলভ। বলেছিলেন, ‘আমাদের বাহিনীকে উসকে দেয়ার চলছে। আমাদের সেনারা কেবল তখনই গুলি চালাতে পারে, যখন তাদের জীবন হুমকিতে পড়বে।’

এদিকে জেরুজামেল পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, দোনেৎস্কে মঙ্গলবার মাইন বিস্ফোরণে তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ জন্য ইউক্রেনীয় সেনাদের দুষছে দোনেৎস্কবাসী।

এর আগে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের গোলার আঘাতে ইউক্রেনের দুই সেনা সদস্য নিহত হয় বলে দাবি করে কিয়েভ।

২০১৪ সালের ১১ মে লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে গণভোটের আয়োজন করে। এতে স্বাধীনতার পক্ষে রায় হলেও তা মেনে নেয়নি ইউক্রেন। এর প্রায় আট বছর পর ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। এই আট বছরে ওই অঞ্চলে সংঘাতে মারা পড়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর