ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান নিয়ে রাশিয়া সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই জোটটিতে যোগ দেয়ার নির্দিষ্ট সময় চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমার জেলনেস্কি।
জার্মানির মিউনিখ শহরে সিকিউরিটি কনফারেন্সে জেলনেস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার এমন হুমকির মুখে আমাদের পাশে পশ্চিমা মিত্রদের চাইছি। পাশাপাশি ন্যাটোতে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট ও সম্ভাব্য তারিখ চাইছি।’
রাশিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ- আমেরিকা। তাদের মিত্র দেশ ইউক্রেনকে ঘিরে রেখেছে লক্ষাধিক রুশ সেনা। সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে জার্মানিতে আলোচনা চালাচ্ছেন ইউরোপের নেতারা।
বৈঠকে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, ‘রাশিয়ার উদ্দেশ্য ভয়াবহ। তাদের এমন আচরণে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার নিয়মনীতি নতুন করে লিখতে হবে।
‘রাশিয়া যা করছে তাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যুদ্ধের মুখোমুখি হবে, যা তার চায় না। কিন্তু মস্কো তাদের ওপর লড়াই চাপিয়ে দিচ্ছে।’
ইউক্রেন ঘিরে ১ লাখ রুশ সেনা মোতায়েনকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে।
ইউরোনিউজের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিশ্চিত, শুক্রবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন বক্তব্যের পর এসব মন্তব্য আসে।
মিউনিখে সংবাদ সম্মেলনে করে শনিবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস রাশিয়াকে সতর্ক করেন। বলেন, ইউক্রেন প্রশ্নে সবাইকে এক থাকতে হবে। ইউক্রেন আক্রান্ত হলে, এমন অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়বে রাশিয়া, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।
এদিকে ইউক্রেন সরকার বলছে, দেশটির রুশপন্থিরা অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আর এটাকে পুঁজি করে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। তবে এমন কোনো পরিকল্পনা নেই, শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে মস্কো।
ইউক্রেনসহ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশকে ন্যাটো জোট থেকে বাদ দেয়ার দাবি মস্কোর। একই সঙ্গে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটোর সেনা ফিরিয়ে নিতে হবে।