মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতির নতুন একটি মামলা করেছে জান্তা সরকার।
মামলায় তার সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি নতুন হেলিকপ্টার কেনা ও তা ভাড়া নিয়ে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি দুর্নীতিবিরোধী আইনের অধীনে পড়ে এবং তা ভঙ্গ করায় ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে ডজনের বেশি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ প্রোটোকল ভাঙার মামলাও।
একটি মামলায় মঙ্গলবার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তা হয়নি। তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে হতে পারে এই নেত্রীকে।
নতুন করে অভিযোগ আনা দুর্নীতির মামলা সম্পর্কে জান্তা সরকারের কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন সু চির আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি কিছু বলতে চাননি।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী; আটক করে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ অনেককে।
এরপর থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নজিরবিহীন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয় সেনাবাহিনী।
এ পর্যন্ত ১২ শর বেশি মানুষকে হত্যা ও ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সু চি। তাই দেশটিতে সামরিক শাসন অব্যাহত রাখতে সু চিকে সারা জীবনের জন্য রাজনীতি থেকে উৎখাত করতে চায় সেনাবাহিনী। ফলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এসব মামলা।