উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে গত মাসের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে লাখো মানুষ। রাজধানী খারতুমে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বুধবার নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন, আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।
সেনাবাহিনী দেশের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ২৫ দিনে সুদানে নিহত বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, খারতুমের পাশাপাশি নিকটবর্তী বাহরি আর ওমদারমান শহরেও বুধবারের বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। এর আগের দিন থেকে মোবাইল ফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
যদিও গুলি ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সুদানের পুলিশ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছে, প্রাণহানির ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুদানের চিকিৎসকদের সংগঠন জানিয়েছে, নিহতদের মাথা, গলা, বুক, পিঠ, পেটসহ বিভিন্ন অঙ্গে গুলির ক্ষত ছিল। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
খারতুমের বিভিন্ন হাসপাতালের ভেতর থেকে পুলিশ আহতদের গ্রেপ্তার করেছে বলেও অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।
সহিংসতা ও ব্যাপক দমনপীড়ন সত্ত্বেও বিক্ষোভের তীব্রতা কমেনি সুদানে।
গত ২৫ অক্টোবর সুদানে জরুরি অবস্থা জারি করেন সুদানের শীর্ষ জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। বেসামরিক সরকার ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক নেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরে মুক্তি পান প্রধানমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে একটি নতুন সার্বভৌম পরিষদকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থলাভিষিক্ত করেছেন জেনারেল বুরহান।
এদিকে আফ্রিকা মহাদেশে ত্রিদেশীয় সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পৌঁছে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি বাড়তে থাকায় সতর্ক থাকতে হবে আফ্রিকার দেশগুলোকে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর সুদানের জন্য ৭০ কোটি ডলারের সহযোগিতা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।