বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত ১৬০

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩১

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মারিবের ১৩৯টি শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই নিয়ে আছে প্রায় ২২ লাখ মানুষ। তাদের বেশির ভাগই দ্বিতীয়বার আশ্রয়হীন হওয়ার মুখে। বর্তমানে পুরো ইয়েমেনে বিশ্ব সম্প্রদায়-সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র শহর আব্দিয়া, যা মারিব থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজধানী সানাসহ দেশের বাকি প্রায় সব অঞ্চল হুতিদের নিয়ন্ত্রণে।

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ১৬০ জনের। নিহতদের সবাই হুতি বিদ্রোহী বলে জানিয়েছে সৌদি জোট।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ মারিবে বিমান হামলা চালিয়েছে জোট। প্রদেশটি দখলে হুতি বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে চালানো হয় এ হামলা।

জোটের শনিবারের বিবৃতির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, ৩২ দফা বিমান হামলা হয়েছে। এসব হামলার মাধ্যমে ১১টি সামরিক যান ধ্বংস ও দেড় শতাধিক বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে।

শিয়া হুতিদের পক্ষ থেকে হামলায় হতাহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি এবং হতাহতের এ সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

মারিবে যুদ্ধ তীব্র রূপ নিতে থাকার মুখে গত সোমবার বিমান হামলা চালিয়ে সাত শতাধিক বিদ্রোহীকে হত্যার দাবি করে সৌদি জোট।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মারিব প্রদেশ দখলে বড় পরিসরে অভিযান শুরু করে হুতিরা। মাঝে সাময়িক ধীরগতির পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন করে অভিযান জোরদার করে তারা।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মারিব প্রদেশে সহিংসতায় গৃহহীন হয়েছে লাখো মানুষ। তাদের মধ্যে শুধু গত এক মাসে ভিটেমাটি হারিয়েছে ১০ হাজার মানুষ।

জাতিসংঘ চলতি সপ্তাহে আব্দিয়ায় সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। জেলাটিতে অবিলম্বে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন- এমন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশেষ করে ইয়েমেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আব্দিয়ায় আশ্রয় নেয়া ১৭ হাজার মানুষ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মারিবের ১৩৯টি শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই নিয়ে আছে প্রায় ২২ লাখ মানুষ। তাদের বেশির ভাগই দ্বিতীয়বার আশ্রয়হীন হওয়ার মুখে।

বর্তমানে পুরো ইয়েমেনে বিশ্ব সম্প্রদায়-সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র শহর আব্দিয়া, যা মারিব থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজধানী সানাসহ দেশের বাকি প্রায় সব অঞ্চল হুতিদের নিয়ন্ত্রণে।

আন্তর্জাতিক জোটের প্রতি বিশ্বস্ত এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে হুতিরা কিছুটা পিছু হটছিল। কিন্তু চার সপ্তাহ ধরে আব্দিয়া ঘিরে রাখার পর জেলাটিতে এগোতে শুরু করে তারা।

ওই কর্মকর্তার দাবি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়-সমর্থিত সরকারি বাহিনীর প্রতি বিশ্বস্ত ইয়েমেনি আদিবাসী সদস্যদের অপহরণ, আটক ও নির্যাতন করছে হুতিরা।’

বিদ্রোহীদের অগ্রসর অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হুতিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষক হোসেন আল-বুখাইতিও।

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি জোট। ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী মুয়াম্মার আল-ইরিয়ানি হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলার অভিযোগ করেছেন।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধ ও সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে লাখো মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর