বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্দার একপাশে নারী, অপর পাশে পুরুষ রেখে ক্লাস: তালেবান

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৩৩

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বলা হয়, ‘সুযোগ-সুবিধার ওপর ভিত্তি করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ও বের হওয়া পথ আলাদা হতে হবে।’

আফগানিস্তানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেকাব পরে আসতে হবে।

এ ছাড়া পুরুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নারীরা একসঙ্গে ক্লাস করতে পারবেন না। আর যদি করতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ক্লাসরুম পর্দা দিয়ে ভাগ করে নারী ও পুরুষকে আলাদা বসাতে হবে।

শনিবার রাতে তালেবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে এসব বলা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নির্দেশে বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাস অবশ্যই নারী শিক্ষকরা নেবেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সচ্চরিত্রের বয়স্ক পুরুষরা কেবল তাদের পড়াতে পারবেন।

এসব নির্দেশ বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে তালেবানের আদেশে বলা হয়েছে।

সোমবার আফগানিস্তানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে যাচ্ছে। এর আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের পোশাক ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ দিল তালেবান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বলা হয়, ‘সুযোগ-সুবিধার ওপর ভিত্তি করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।

‘নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ও বের হওয়া পথ আলাদা হতে হবে।

‘নারী শিক্ষক না পাওয়া গেলে কলেজগুলোকে বয়স্ক পুরুষ শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করতে হবে। এসব শিক্ষককে অবশ্যই সচ্চরিত্রের পরিচিতি থাকতে হবে।’

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আরও বলা হয়, ‘ক্লাসে নারীরা আলাদা পড়াশোনা করবেন। পুরুষদের ক্লাস শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে তাদের পড়াশোনা শেষ করতে হবে যাতে ক্লাসের বাইরে নারী ও পুরুষ একত্রিত না হতে পারেন।

‘পুরুষ শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে বের না হওয়া পর্যন্ত ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করবেন নারী শিক্ষার্থীরা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, ‘আসলে এসব নির্দেশাবলি কার্যকর করা কঠিন।

‘আমাদের পর্যাপ্ত নারী শিক্ষক বা বাড়তি ক্লাস নেই। তবে তালেবান নারীদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে, এটা বেশ ইতিবাচক পদক্ষেপ।’

বাড়ির বাইরে পুরুষ স্বজনদের নিয়ে বের হওয়ার বাধ্যবাধকতা ও ছেলে-মেয়ের একসঙ্গে ক্লাস করার নিষেধাজ্ঞা থাকায় তালেবানের আগের শাসনামলে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বেশির ভাগ আফগান নারী শিক্ষার্থী।

নব্বই দশকে তালেবান শাসনে নারীদের পুরো দেহ আবৃত করা বোরকা পরতে হতো।

তবে এবার নারীদের বোরকার পরিবর্তে কেবল চোখ অনাবৃত থাকা নেকাব পরার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান পতনের পর বোরকা ও নেকাব পরিহিত নারীদের রাজধানী কাবুল শহরের পথেঘাটে খুব বেশি দেখা যেত না।

তবে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলে আফগান নারীদের বোরকা বা নেকাব পরার চল কখনো উঠে যায়নি।

১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর বেশ কিছু যুগান্তকারী অঙ্গীকার করেছিল সংগঠনটির নেতারা।

নতুন সরকারে নারীর অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নারী শিক্ষায় আগের শাসনামলের কড়াকড়ি থেকে সরে আসার কথাও সে সময় বলা হয়েছিল।

তবে এরই মধ্যে নিজেদের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ সরকারে নারীদের না নেয়ার কথা জানিয়েছে তালেবান।

নারী ইস্যুতে তালেবানের এবারের অবস্থান আগের চেয়ে খুব একটা ভিন্ন হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিভাগের আরো খবর