বাজেট অনুমোদন না পাওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন।
মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য দেশ যদি ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত এক বছরের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের বাজেটে একমত হতে না পারে তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে মিশনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন তারা।
বাজেট নিয়ে এখনও সদস্য দেশগুলোর ঐকমত্যে না আসার পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধকেও দায়ী করছেন কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি এবং কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন পোলার্ড জানান, সময় মতো বাজেট পাস না হলে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে থাকা ১২টি শান্তিরক্ষা মিশনকে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনার প্রস্তুতির বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একই সময়ে আমরা আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী যে এ বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোনো একটা সমাধানে আসতে রাজি হবে।’
তিনি জানান, ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট অনুমোদন না হলে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মীদের সুরক্ষায় সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা খরচ করতে পারবেন।
তবে এই অর্থ মিশন চালানোর জন্য পর্যাপ্ত হবে না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান জ্য পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স।
তিনি বলেন, ‘এমনটা হলে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে, করোনভাইরাস মহামারি ঠেকাতে এবং রাজনৈতিক বিরোধ মেটাতে খুব একটা কাজ করতে পারবে না মিশন।’
১৯৪৮ সালে যাত্রা শুরু করা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি ২৮ শতাংশ অর্থ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চীন দেয় ১৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং জাপান দেয় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সদস্য রয়েছে বাংলাদেশের। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর ৬ হাজার ৬২৬ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন।