করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বেসামাল পশ্চিমবঙ্গ, তখন ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ছয় বছরের পুরোনো একটি মামলা নিয়ে অতি সক্রিয়তা ভালো চোখে দেখছে না এ রাজ্যের মানুষ ।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তা ইস্যুতে এককাট্টা হয়েছে রাজ্যের বিজেপিবিরোধী সব দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এই সমালোচনায় অবশ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সামনে কোনো ভোট নেই। তাই মানুষের মনোভাবের চেয়ে তাদের বেশি দরকার নিজেদের কর্মীদের মনোবল চাঙা রাখা। তৃণমূলের নেতাদের জেলে যাওয়া তাদের কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য এই যুক্তি মানতে রাজি নন। তারা মনে করেন, সাধারণ মানুষকে বাদ দিয়ে রাজনীতি হয় না। মানুষ বিরক্ত হলে সেটা মাথায় রেখে পদক্ষেপ করা উচিত। শুধু তাই নয়, বিজেপিবিরোধী শিবিরের দূরত্ব কমছে বলে রাজ্য বিজেপির একাংশের আশঙ্কা। এতে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করেন ।
করোনা আবহে কেন তৃণমূলের মন্ত্রী-নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সিবিআইয়ের এই অতি সক্রিয়তা আসলে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি।’
সিপিআইএম এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলার ব্যর্থতা ঢাকতে এসব করছে। ফিরহাদ হাকিমদের গ্রেপ্তারের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এই ইস্যুতে নকশালপন্থি কয়েকটি সংগঠন বিজেপির দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে মিছিল করে।
হাওয়া খারাপ বুঝে বিজেপি নেতারা গ্রেপ্তার ইস্যুতে চুপ করে থাকলেও বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি এক ভিডিও বার্তায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থায় বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।