নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেছে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির প্রশাসন।
রোববার সকালে মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
অলির মন্ত্রিপরিষদের জ্বালানিমন্ত্রী বর্ষমান পুন বলেন, ‘আজকের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্টের কাছে পার্লামেন্ট ভাঙার সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়।’
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবিধানিক পরিষদ আইন নিয়ে জারি করা একটি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের চাপে ছিলেন অলি।
গত মঙ্গলবার ওই অধ্যাদেশটি অনুমোদন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বৈঠক ডাকার পর আশা করা হচ্ছিল, মন্ত্রিপরিষদ ওই অধ্যাদেশের পরিবর্তে আরেকটি অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করবে। কিন্তু তা না করে তারা পার্লামেন্ট ভাঙার সুপারিশ করে।
এক মন্ত্রী কাঠমান্ডু পোস্টকে জানান, বৈঠক শুরুর পরপরই প্রধানমন্ত্রী অলি ঘোষণা দেন, তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করতে যাচ্ছেন। তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেননি কেউই।
এর আগে শনিবার বেশ কিছু বৈঠক করেন অলি। ওই দিন সকালে নিজ দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারপারসন পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া বিকেলে দলের দপ্তর সদস্য রাম বাহাদুর থাপা ও সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভান্ডারির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
নেপালের বিদ্যমান সংবিধানে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার বিধান নেই। এ কারণে এ সিদ্ধান্তটি আইনি চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে।