বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জার্মানিতে বড়দিন কাটবে লকডাউনে

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৪৯

পরিস্থিতি সামাল দিতে আবার লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের দেশটির সরকার। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই লকডাউন, শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। যার অর্থ, ২৫ ডিসেম্বর জার্মানিতে বড় দিন হচ্ছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছাড়াই।

করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোয় কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে জার্মানি। ফলে আসছে বড়দিন ঘরে বসেই কাটবে দেশটির নাগরিকদের।

বিবিসির খবরে বলা হয়, লকডাউনের অংশ হিসেবে বুধবার থেকে জার্মানি জুড়ে কম প্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হবে। এই সময়ে বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও।

গত কিছু দিন ধরে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বড়দিন উপলক্ষে কেনাকাটার কারণে মানুষজনের মধ্যে সংস্পর্শ বাড়ায় এই ভাইরাসের বিস্তার বেড়েছে বলে মনে করছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল।

জার্মানির সবশেষ করোনা রিপোর্টে দেখা গেছে, দেশটিতে একদিনে আরও ২০ হাজার ২০০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩২১ জনের।

পরিস্থিতি সামাল দিতে আবার লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের দেশটির সরকার। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই লকডাউন, শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। যার অর্থ, ২৫ ডিসেম্বর জার্মানিতে বড় দিন হচ্ছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছাড়াই।

১৬টি প্রদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা জানান মের্কেল। তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি ছিল’।

করোনার বিস্তার আবার বাড়তে থাকায় জার্মানিতে নভেম্বর থেকেই রেস্টুরেন্ট, বার ও বিশ্রামকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে লকডাউন চলছে আগে থেকেই।

নতুন লকডাউন আরোপের নির্দেশনায় কেবল খাবারের দোকানগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। খোলা রাখা যাবে ব্যাংকগুলোও। আর যেসব দোকানপাট বন্ধ থাকবে সে তালিকায় রয়েছে সেলুনও।

কর্মচারীদের বাসায় থেকে কাজ করতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে কেয়ার হোমগুলোতে করোনা টেস্ট মাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সব ধরনের ইভেন্ট ও আতশবাজির উপকরণ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে বলেও লকডাউন নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

জার্মানির অর্থমন্ত্রী ওলাফ স্কোলজ জানিয়েছেন, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ইউরো পর্যন্ত প্রণোদনা দেয়া হবে।

মের্কেল জানিয়েছেন, করোনার বিস্তার বাড়ায় দেশের স্বাস্থ্য কাঠামোর ওপর চাপ বেড়েছে। তা কমানোর জন্য লকডাউন আরোপ করা জরুরি ছিল।

জার্মানির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ লাখ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৭৮৭ জনের।

এ বিভাগের আরো খবর