ক্ষমতা ছাড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচারকে তিন দিন সময় বেঁধে দিয়েছে থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার দেশটির রাজধানী ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সামনের একটি জমায়েত থেকে তার জন্য একটি ‘প্রতীকী পদত্যাগপত্র’ও পাঠিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে শনিবার আবার ফিরে আসবেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের একজন মুখপাত্র পাৎসারাওয়ালি মাই তানাকিভাইভউপন বলেন, 'যতক্ষণ না তিনি (প্রায়ুত) পদত্যাগ করছেন, আমাদের লড়াই শেষ হবে না। তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তিনি আবার জনতার মুখোমুখি হবেন।'
তার এই বক্তব্যের পরপরই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে গত তিন মাস ধরে আন্দোলন করছেন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা।
তাদের অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকার জন্য গত বছরের নির্বাচনে কারচুপি করেছেন প্রায়ুত।
নির্বাচন, নতুন সংবিধান ও রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে টানা আন্দোলন করছেন তারা।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি নিয়ে আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে আলোচনা করার কথা বলছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে জারি করা আইন তুলে নেয়ার কথাও বলা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার নেতৃত্বে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার চলমান আন্দোলন দমাতে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও বিক্ষোভের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে।
সম্পদের বৈষম্য শহুরে অভিজাত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে বিভক্ত থাইল্যান্ডের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের বড় কারণ। এ কারণেই এই বিক্ষোভ অন্য যেকোনো সময়ের বিক্ষোভকে ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে