সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার খাশোগজি প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও (ডিএডব্লিউএন) ও তার বাগদত্তা হেতিজা জেঙ্গিস ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় এমবিএসসহ সৌদি আরবের ২৪ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়।
হেতিজা জেঙ্গিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, মামলার মধ্য দিয়ে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমেরিকার বেসামরিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা আছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তি হবে বলে মনে করি।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগজিকে হত্যা ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে। জেঙ্গিসকে বিয়ের প্রয়োজনীয় দলিল আনতে সেখানে গিয়েছিলেন খাশোগজি।
হেতিজা জেঙ্গিস। ছবি: এপি
অভিযোগে বলা হয়, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার লক্ষ্যে ডিএডব্লিউএন নামের মানবাধিকার সংস্থা গড়ে তোলেন খাশোগজি। বিষয়টি জানার পরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামিরা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, খাশোগজিকে হত্যার সুযোগ খুঁজছিলেন এমবিএস ও সৌদি কর্মকর্তারা। এরই অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন দূতাবাসে কর্মরত সৌদি কর্মকর্তারা তাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলিলপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন না তিনি। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকেই তাকে সেসব নিতে হবে।
সৌদি কনস্যুলেটেই ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগজিকে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ টুকরো করা হয়। তার শরীরের অংশবিশেষ পাওয়া যায়নি।
পরে সৌদি আরব খাশোগজি হত্যায় সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করলেও দাবি করেছে, এ ঘটনায় এমবিএসের হাত ছিল না।
সৌদির এই স্বীকারোক্তিতে সে সময় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। এমবিএসকে না জানিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আল জাজিরা