‘ইন্টারনেটের অবাধ বিস্তার আছে বলে লাইব্রেরির আবেদন শেষ হয়ে যাবে না। তরুণ প্রজন্ম ইন্টারনেটের মাধ্যমে আরও বেশি কাজ করছে। আমি নিজেও ইন্টারেনেটের সুবিধাভোগী।’ কথাগুলো বলছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
নেত্রকোণায় মোহনগঞ্জের আদর্শনগরে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ‘আখলাকুল হোসাইন আহমেদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের’ ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রোববার যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোতেও প্রতিনিয়ত বই প্রকাশ, বিপণন ও সংরক্ষণ হচ্ছে। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে লাইব্রেরিমুখী হতে হবে। ইন্টারনেটকে চ্যালেঞ্জ করেই মানুষের কাছে বই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদেরও লাইব্রেরিমুখী হওয়া দরকার।’
মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘বাবা আখলাকুল হোসাইন আহমেদের স্বপ্ন ছিল এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি তা করে যেতে পারেননি। তাই আমি এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মোহনগঞ্জে এ মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেছি।’
শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণ সরকার জানান, লাইব্রেরিটিতে পাঁচ হাজার বই রাখার ব্যবস্থা আছে। বর্তমানে বিষয়ভিত্তিক ১ হাজার ২০০ বই আছে।
একজন লাইব্রেরিয়ান সফটওয়্যারের মাধ্যমে লাইব্রেরির পুরো কার্যক্রম যেন পরিচালনা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ বিষয়ভিত্তিক কর্নার থেকে বই সংগ্রহ করে সুসজ্জিত পরিবেশে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব থাকার সময় এলাকাবাসীকে নিয়ে হাওরাঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে ডিঙ্গাপোতা হাওরপাড়ে এই মহাবিদ্যালয়টি স্থাপন করেন সাজ্জাদুল হাসান। বর্তমানে আবাসিক শিক্ষালয়টিতে ৬১৭ শিক্ষার্থী পড়ছে।
মহাবিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফর হাসান, কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মুশফিকুর রহমান।