বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পলাতক খুনিদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না’

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৪৯

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না, তার কারণ তাদের ফিরিয়ে আনার স্বার্থে। তবে আপনাদের একটা কথা বলতে চাই। বঙ্গবন্ধুর পলাতক এই পাঁচ খুনিকে যতক্ষণ পর্যন্ত ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের জনগণ ক্ষান্ত দেব না।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর না করা পর্যন্ত আমরা ক্ষান্ত হব না। এ ছাড়া, করোনা সংক্রমণ কমে আসলে ১৫ আগস্টের ঘটনার পেছনে কুশীলবদের খুঁজে বের করতে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হবে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ খুনির ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পলাতক অবস্থায়, বিদেশের মাটিতে। বাকি পাঁচজন পলাতক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, পাঁচ খুনির একজন কানাডা ও একজন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরী ওরফে রাশেদ চৌধুরী। অন্যদিকে কানাডা সরকারের আশ্রয়ে আছেন খুনি এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ওরফে নূর চৌধুরী। এরা দুজনই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

অপর তিন খুনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেমউদ্দিন সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না, তার কারণ তাদের ফিরিয়ে আনার স্বার্থে। তবে আপনাদের একটা কথা বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর পলাতক এই পাঁচ খুনিকে যতক্ষণ পর্যন্ত ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের জনগণ ক্ষান্ত দেব না।’

আনিসুল হকের মতে, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ষড়যন্ত্রের সম্মুখে যারা ছিল, তাদের আমরা বিচার করেছি। এই ঘটনার নেপথ্যে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। এই কুশীলব কারা তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসলেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে কমিশনের কথা বলা হয়েছে, সেই কমিশন গঠন করা হবে।

‘এই কমিশন হবে নিরপেক্ষ, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও দায়িত্বশীলদের নিয়েই এই কমিশন হবে। আর কমিশন এ ঘটনার পেছনে কুশীলবদের জিয়াউর রহমানসহ সকলের পরিচয় এবং তাদের ন্যক্কারজনক কাজ সাক্ষ্য-প্রমাণসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করবে।’

এ সময় তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন করেন এবং বৃক্ষরোপণ করেন। এ সময় ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহারসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর