বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হত্যা: তৎকালীন নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখার তাগিদ

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২১ ০৯:৪০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিরোধ করতে না পারায় সে সময়ের নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখে তা জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা প্রতিরোধ করতে না পারায় তৎকালীন নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রোববার সকালে গণমাধ্যমকে এ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান তিনি।

কাদের বলেন, ‘সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিরোধ করতে না পারায় সে সময়ের নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখে তা জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত।

‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ইতিহাসের এই কুখ্যাত কুশীলবদের স্বরূপ উন্মোচন করা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পাড়ার যে ব্যর্থতা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী নেতৃত্বের, সেটাও নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।’

জাতীয় শোক দিবসে দিনের শুরুতেই ভোর সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন।

প্রধানমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেয়া হয় ৩২ নম্বরের ফটক। সকাল ৭টায় শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজতে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন অনেকে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একটা কমিশন হওয়া উচিত যারা নেপথ্যে থেকে শক্তি জুগিয়েছে তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের খল নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের মুখোমুখি করতে কমিশন ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস।’

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে মত আওয়ামী লীগ নেতাদের। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা ক্ষমতায় ছিল জিয়াউর রহমানের আমলে, খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। বিভিন্ন দেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

‘সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে, কূটনৈতিকভাবে যাতে খুনিদের ফিরিয়ে আনা যায় এবং সাজা কার্যকর করা যায়,’ যোগ করেন তিনি।

১৯৭৫ সালের এ দিনে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দিনে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় আক্রমণ করে।

ওই সময় বঙ্গবন্ধু ছাড়াও হত্যা করা হয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে।

এ ছাড়া বেইলি রোডে সরকারি বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত ও আবদুল নঈম খান রিন্টুকে।

আরেক বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে।

সেদিন দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা সে সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে।

প্রতি বছর শোক দিবসে নানা কর্মসূচি থাকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর। এবার করোনার কারণে ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে চলছে দলটি। আর এ কারণেই শোক দিবসের সব কর্মসূচিতে প্রাধান্য পাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি।

১৫ আগস্ট শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে রোববার জোহরের নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে হবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। পাশাপাশি সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হবে বিশেষ প্রার্থনা।

দুপুরে অসচ্ছল ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে খাবার। আর আসরের নামাজের পর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে হবে মিলাদ ও দোয়া।

১৬ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোক দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর