বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিডিও কলেই তাদের ঈদ আনন্দ

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২১ ১৫:১৫

ট্রাফিক পুলিশ টিপু সুলতান বলেন, ‘চাকরি করলে তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে। এটাই আমার পেশা। ঈদের ছুটিতে আমার অনেক কলিগ (সহকর্মী) বাড়িতে গিয়েছেন। আমি হয়তো যাইতে পারিনি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পেশায় তো একসঙ্গে সবার ছুটি সম্ভব না।’

ট্রাফিক পুলিশ টিপু সুলতান। প্রতিদিনের মতো ঈদের দিনও দায়িত্ব পালন করছেন পুরানা পল্টন মোড়ে। ঈদের দিন সকাল বেলা। সড়কে তখনও যানবাহন বাড়েনি। ফাঁকা সড়ক। এই সুযোগে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ভিডিও কলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন তিনি।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভিডিও কলে পরিবারকে ভার্চুয়ালি সঙ্গ দেয়া ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

দুই সন্তানের বাবা টিপু সুলতান বলেন, ‘চাকরি করলে তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে। এটাই আমার পেশা। ঈদের ছুটিতে আমার অনেক কলিগ (সহকর্মী) বাড়িতে গিয়েছেন। আমি হয়তো যাইতে পারিনি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পেশায় তো একসঙ্গে সকলের ছুটি সম্ভব না।

‘আত্মীয়স্বজন যারা আছেন তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করছি, ভিডিও কলে সন্তানদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজের মধ্যেই ঈদের আনন্দ খুঁজে নিতে হয়।’

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন আজিজুল ইসলাম। ঈদের নামাজ শেষ করে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরে শুরু করেছেন পেশাগত দায়িত্ব পালন। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ঈদের দিন হয়তো এভাবে কেটে যাবে তার।

ফরিদপুরে থাকা পরিবার স্বজনদের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ফাঁকেই মোবাইলে ভিডিও কলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন আজিজুল।

জরুরি সেবার সদস্য হিসেবে ঈদে ছুটি পাননি অনেক পুলিশ সদস্য। ছবি: নিউজবাংলা

সাত বছর ধরে এ পেশায় যুক্ত ৩৫ বছর বয়সী এই যুবক বলেন, ‘চাকরি জীবনের অনেক ঈদ বাড়ির বাইরে করেছি। এখন আর তেমনটা কষ্ট হয় না। প্রথম দিকে অনেক কষ্ট লাগত। তবে তারপরও পরিবারের সঙ্গে ঈদের দিন কাটাতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু চাকরি করতে হলে তো সব চাহিদা পূরণ হয় না। দায়িত্ব পালনের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পাই।’

গণমাধ্যমকর্মী তানজীর মেহেদী বলেন, ‘খারাপ তো লাগেই। চট্টগ্রামে বাড়িতে বাবা-মা আছে, বোনেরা আছে। ওদের সঙ্গে ঈদ করতে পারছি না। কিন্তু আমরা সংবাদ না দিলে মানুষ জানবে কী করে দেশে কী হচ্ছে। সংবাদ সংগ্রহের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে ফিরি।’

পরিচ্ছন্নকর্মী কাশেম আলি বলেন, ‘পরিবারের লগে ঈদ করতে পারছি না যেমন সত্য কথা তেমন সত্য কথা এই ঈদে ইনকামও অইব বেশি। ঈদের দিন কাজ করলে বেশি টাকা পাউন যাইব। এর বাইরে মাংসও পামু। পরে আনন্দ করা যাবে।’

ধর্মীয়সহ বিভিন্ন জাতীয় উৎসব আনন্দে অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও সেবামূলক অনেক পেশার লোকদেরই দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক, নার্স, গণমাধ্যমকর্মী, ফায়ার সার্ভিসকর্মী, নিরাপত্তাপ্রহরী ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

এ বিভাগের আরো খবর