যথাযথ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রতিটি জামাত শেষে করা হচ্ছে করোনাভাইরাস মুক্তির দোয়া। কামনা করা হচ্ছে দেশ ও জাতির কল্যাণ।
জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত। এরপর সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় আরও তিন জামাত।
প্রত্যেক জামায়াতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি চাওয়া হয় সৃষ্টিকর্তার কাছে। যারা অসুস্থ তাদের সুস্থতা কামনা করা হয়।
প্রথম জামাত শেষে ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ, করোনা মহামরি থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষকে হেফাজত করুন। যারা অসুস্থ আছেন তাদের সুস্থতা দান করুন।’
এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় জামাত শেষে ইমাম মাওলানা মুহিবুল্লাহহিল বাকী বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিন। করোনা মহামারি উঠিয়ে নিন। আমাদের মুক্তি দিন। আমাদের দেশকে হেফাজত করুন।’
সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাত শেষে ঈমাম মাওলানা মোহাম্মদ এহসানুল হক জিলানি মোনাজাতে বলেন, ‘করোনার মতো কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমাদের মুক্তি দিন। বিশ্ববাসীকে করোনামুক্ত করুন।’
এর এক ঘণ্টা পর চতুর্থ জামাত শেষে মোনাজাতে ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কাশেম বলেন, ‘প্রাণঘাতী এই মহামারি থেকে মুক্তি পাক গোটা বিশ্ব। আমরা যেন আগের মতো সবাই মিলে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারি। ঈদ শেষে একসঙ্গে কোলাকুলি ও করমর্দন করতে পারি। আল্লাহ এই মহামারিতে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সুস্থ করে দিন।’
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কালো রাতে শাহাদতবরণকারী সব শহীদের রুহের মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে নামাজ পড়তে হয় মুসল্লিদের। সবার মুখে ছিল মাস্ক। এ বিষয়ে মসজিদের মাইকেও বারবার সতর্ক করে দেয়া হচ্ছিল।
ঈদের জামাত ঘিরে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয় কয়েক শ পুলিশ সদস্য। সেখানে কড়াকড়ি অবস্থা ছিল।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। মাস্ক না থাকায় প্রবেশ গেট থেকে অনেককে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তৃতীয় জামাতে নামাজ পড়েন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের খতিব-ইমাম, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইক আগেই অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এবারের কোরবানির ঈদের জামাত সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে বলে আগেই জানিয়েছিল সরকার। তবে বেশ কিছু নির্দেশনা বেঁধে দেয়া হয়।