বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ আনন্দ বাঁধ ভেঙেছে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ মে, ২০২১ ২২:২৮

নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্ক সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, সার্কিট হাউজ মাঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ও গাছগাছালি ঘেরা সড়কের আশপাশে মানুষের ঢল দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরতে এসেছে। আবার অনেকে মাস্ক পড়লেও তা ছিল থুতনির নিচে, আর স্বাস্থ্যবিধি ছিল একেবারেই উপেক্ষিত।

ময়মনসিংহে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে প্রশাসন শুরু থেকেই জনসাধারণকে বিভিন্নভাবে সচেতন করছে। ঈদ উপলক্ষে বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীদের পার্কে যেতে নিরুৎসাহিত করছে পুলিশ।

ঈদের দ্বিতীয় দিনে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে বিনোদনকেন্দ্রগুলোর আশপাশে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। করোনাকে ভুলে গিয়ে ঈদ আনন্দে মেতেছে ছেলে বুড়োসহ নানা বয়সী মানুষ।

শনিবার দুপুরের পর থেকেই নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্ক সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, সার্কিট হাউজ মাঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ও গাছগাছালি ঘেরা সড়কের আশপাশে মানুষের ঢল দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরতে এসেছে। আবার অনেকে মাস্ক পড়লেও তা ছিল থুতনির নিচে, আর স্বাস্থ্যবিধি ছিল একেবারেই উপেক্ষিত।

মেহেদী হাসান, শাহারিয়ার নাদিম ও আবুল কালাম আজাদ নামে তিন বন্ধু ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে হাটতে আসেন। ফেরার সময় কথা হয় তাদের সঙ্গে।

তারা বলেন, ‘আমরা তিনজনই আলাদাভাবে ফার্মেসি ও নতুন বাসা তৈরির ডিজাইনের কাজ করি। ময়মনসিংহে থাকলেও রোজার মাসে কাজের ব্যস্ততার কারণে তিন বন্ধুর একসঙ্গে ঘোরা হয়নি। তাই ভাবছি এদিকে একটু ঘুরে আসি। এসে দেখি লোকজনের উপচে পড়া ভিড়। তাই এখনই চলে যাব।’

সার্কিট হাউজ মাঠে পরিবার নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় কথা হয় একরাম তালুকদার নামে মধ্যবয়সী এক লোকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পিচ্চি নাতি-নাতনি বায়না ধরছে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। তাই এখানে এসেছি।

‘তবে এত লোকজন আসবে জানলে বাসা থেকে বের হতাম না। কারণ আমরা প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গেছি। ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’

অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রে লোকজনের ঢল নেমেছে কিনা দেখতে বিকেলে যাওয়া হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। সেখানে দেখা যায় করোনাভাইরাসের জন্য শত শত মানুষ প্রবেশ করতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ বসে আড্ডায় মেতে উঠেছেন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলোর দুপাশে সারি সারি গাছ যে কাউকে আকৃষ্ট করে। সড়কগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জয়নুল আবেদিন পার্ক এলাকায় হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে যেতে বলেছি। কিন্তু লোকজন তবুও যেতে চায় না। পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে নদের পাড় ও সার্কিট হাউস মাঠে সবাই জড়ো হয়েছে।

‘যেহেতু ঈদ তাই আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি এবং আগামী দিন থেকে দল বেধে ঘোরাঘুরি করতে না আসার জন্য নিরুৎসাহিত করছি।

এ বিভাগের আরো খবর