ঈদ করতে বাড়িতে যাওয়া রাজধানীর বাসিন্দাদের লকডাউনে না ফেরার অনুরোধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকালে প্রথম ঈদের জামাতে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অনুরোধ করেন।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে তাপস সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা লোকজনকে বাড়িতে না গিয়ে কর্মস্থলেই ঈদ করার অনুরোধ করেন। তাপসের কথাতেও তার প্রতিফলন দেখা গেল।
মোবাইল অপারেটরদের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭২ লাখ ইউনিক মোবাইল ইউজার ঢাকার বাইরে গেছেন। এখানে একটি এনআইডিতে কেনা একাধিক সিমকেও একজন ইউজার ধরা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।
এর মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় কঠোর লকডাউন যা কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ মে পর্যন্ত চলবে এ বিধিনিষেধ।
সবশেষ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদের পরে ২০-২২ তারিখের দিকে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পেতে পারে। এ দিক থেকে আমাদের পরিকল্পনা আছে ঈদের পরে আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ চলমান রাখা অন্তত।
‘আর এর মধ্যে শতভাগ মাস্ক যেন আমরা পরাতে পারি সে ব্যবস্থা করা। আশা করি ১৬ তারিখের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে এগুলো জানাতে পারব।’
লকডাউন বাড়ানোর পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দেয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।