বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ষার আকুতি

  •    
  • ১৪ মে, ২০২১ ০৯:২৮

মোনাজাতে সারা পৃথিবীর মুসলমানদের রক্ষায় আল্লাহর কাছে আকুতি জানানো হয়। দেশের মানুষের জন্য শান্তি কামনা করা হয়। দোয়া করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।

ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের রক্ষা ও করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি কামনার মধ্য দিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের চারটি জামাত হয়েছে।

সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত, ৮টায় দ্বিতীয়, ৯টায় তৃতীয়, ১০টায় চতুর্থ ও পৌনে ১১টায় পঞ্চম জামাত হয়। এতে কয়েক হাজার মুসল্লি অংশ নেন।

প্রথম জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান।

দুই রাকাত নামাজ শেষে হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে ঈদের প্রথম জামাত সমাপ্ত হয়।

মোনাজাতে সারা পৃথিবীর মুসলমানদের রক্ষায় আল্লাহর কাছে আকুতি জানানো হয়। দেশের মানুষের জন্য শান্তি কামনা করা হয়। দোয়া করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।

মোনাজাতে করোনা থেকে রক্ষায় সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারেন সে দোয়া করা হয় আল্লাহর কাছে।

এর আগে সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা আসা শুরু করেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, মুসল্লিদের দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি অনেকে। মাস্ক ছাড়াও মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড়দের কোলাকুলির দৃশ্য চোখে কম পড়লেও শিশুদের কোলাকুলি করতে দেখা যায়।

বায়তুল মোকাররম এলাকায় ও মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। বসানো হয় আর্চওয়ে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করে পুলিশ।

দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি হাবিবুর রহমান মেশকাত।

তৃতীয় জামাত হয় সকাল ৯টায়। এ জামাতের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।

সকাল ১০টায় হয় চতুর্থ জামাত। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হয়েছে বেলা পৌনে ১১টায়। এ জামাতের ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি এড়াতে এবার ঈদের নামাজ ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সে কারণে ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হয়নি জাতীয় ঈদগাহে। তাই মুসল্লিদের ভিড় ছিল বায়তুল মোকাররমে।

এ বিভাগের আরো খবর