করোনাভাইরাস মহামারিতে ঈদের নামাজের পর চিরাচরিত কোলাকুলির দৃশ্য আগের মতো চোখে পড়ে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা থাকায় মসজিদে একসঙ্গে নামাজ পড়ে কুশল বিনিময় করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মুসল্লিদের।
তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পুরোনো দৃশ্য ফিরিয়ে এনেছে শিশুরা। সেখানে ঈদের প্রথম জামাতের পর মাস্ক পরে কোলাকুলি করতে দেখা গেছে তাদের।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে এবার জাতীয় ঈদগাহসহ উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে বারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে হয়েছে ঈদের জামাত।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা ও ৮টায় ঈদের দুটি জামাত হয়। এসব জামাতে উপস্থিত ছিলেন বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।
নামাজে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে তৎপর ছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। মুসল্লিদের অনেকের মুখে ছিল মাস্ক। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানা মুসল্লিও ছিলেন অনেকে।
বতর্মান করোনা পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
এতে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এ বছর বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে। পরের তিনটি জামাত হবে সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা পৌনে ১১টায়।
এসব নামাজে ইমাম ও মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন পেশ ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা।