করোনাভাইরাস মহামারিতে ২০২০ সালে সীমিত পরিসরে ঈদ উদযাপন হয় বিভিন্ন দেশে। এবারও বদলায়নি পরিস্থিতি। এ বছরের ঈদুল ফিতরেও রয়েছে মহামারির ছায়া। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ উদযাপনের খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ। তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তুরস্কে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদগুলোতে ঈদের জামাতে অংশ নেয় মুসল্লিরা।
মসজিদের ইমামরাও সামাজিক দূরত্ব মানতে মুসল্লিদের উৎসাহ দিয়েছেন। তারা ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের প্রথাগত বাড়ি বেড়ানো বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দেশটির ফাতিহ মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে হয়েছে ঈদের জামাত। সেসব জামাতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সামাজিক দূরত্ব মেনে তুরস্কের ফাতিহ মসজিদে হয় ঈদের জামাত। ছবি: আনাদোলু
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলমানপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মসজিদে ঈদ জামাতের অনুমতি দিয়েছে।
এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইশতিকলাল গ্র্যান্ড মসজিদসহ বড় মসজিদগুলোতে নামাজ পরা বন্ধ রেখেছে সরকার।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় গত বছরের মতো এবারও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়ানো নিষিদ্ধ রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে বলেন, ‘আমি জানি, ঈদের মতো মুহূর্তে আমরা প্রিয়জনের সান্নিধ্য অনুভব করি। তবে আসুন সবাই মিলে নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে গ্রামের বাড়িতে না যাই।’
করোনার সংক্রমণ রোধে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন অপ্রত্যাশিতভাবে গত ১২ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন। দেশটিতে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ভ্রমণ ও গণজমায়েত বন্ধ করা হয়েছে। এর মানে হলো মুসলমানরা একে অপরের বাড়িতে বেড়ানো কিংবা কবর জিয়ারত করতে যেতে পারবেন না।
মুহিদ্দিনের মতে, অনেকে লকডাউনের সিদ্ধান্তে বেজার হলেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল। কারণ হাসপাতালগুলো রোগীতে প্রায় ভরে গেছে।
এদিকে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের মধ্যে ঈদ হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজায়। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের।
গাজায় সহিংসতার সূত্রপাত পূর্ব জেরুজালেম থেকে। সেখানকার আল-আকসা মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নেয় ফিলিস্তিনিরা।