বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চাচা রোজা? ইফতার নিয়ে যান’

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৩১

ইফতার বিতরণের এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে ‘পটুয়াখালীবাসী’ নামের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশব্যাপী কড়া লকডাউনের সময় স্বল্প আয়ের দিনমজুর, শ্রমিকদের জন্য বিনা পয়সায় ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন।

‘চাচা রোজা আছেন? থাকলে ওখান থেকে ইফতার নিয়ে যান।’

পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউস এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক মোড় পর্যন্ত রাস্তায় গত তিন দিন এভাবেই ডেকে ডেকে দরিদ্র রোজাদারদের ইফতার দেয়া হচ্ছে।

ওই রাস্তার পাশে সাজানো থাকে ইফতারের প্যাকেট আর পানির বোতল। সেগুলো নেয়ার জন্য থাকে ব্যাগও।

এই উদ্যোগ ‘পটুয়াখালীবাসী’ নামের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। মাত্র ছয়জন সদস্য তিন দিন ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন।

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া অসহায়, দরিদ্র কিংবা স্বল্প আয়ের দিনমজুরদের মধ্যে যারা রোজা রেখেছেন, তারা যে যার মতো করে একটি করে প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছেন।

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশব্যাপী কড়া লকডাউনে উপার্জনহীন স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো বিনা পয়সায় ইফতার পেয়ে বেশ খুশি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিকেল ৪টার দিকে ইফতারের প্যাকেট তৈরির কাজ শুরু করা হয়। প্রতি প্যাকেটে মুড়ি, বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, খেজুর রাখা হয়। এর সঙ্গে এক বোতল বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্ক থেকে ভ্যানে করে এসব ইফতার নিয়ে সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে সার্কিট হাউস সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। ওই রাস্তা দিয়ে শ্রমজীবীরা গেলে তাদের জিজ্ঞেস করা হয় রোজা আছেন কিনা। রোজা থাকলে ইফতারির একটি প্যাকেট দেয়া হয়।

পায়রাকুঞ্জ এলাকার অটোরিকশার চালক জাকির হোসেন বলেন, ‘লকডাউনে যাত্রী নাই। পতে পতে পুলিশ চেকপোস্টে মিথ্যা কতা কইয়া দুই-একজন যাত্রী টানি। এহন সময় প্রায় শ্যাষ বাড়ি যাইতে যাইতে রোজা খোলার সময় পামু না।

‘হ্যারপর য্যা কামাইছি হেইহান দিয়া যদি ইফতারিতে খরচ হরি হ্যারে বাড়িতে বাজার নিতে পারমু না। হেই চিন্তা কইরা রাস্তার পাশের এই ইফতার লইয়া লইলাম।’

ইফাতার পেয়ে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জানি না কোন ব্যাডায় এইয়া দিছে, তবে যে দিছে হ্যার জন্য দোয়া হরি। গোপনে মোগো মতো গরিবেরে রোজা খোলাইয়া অনেক ছওয়াবের কাম হরছে।’

কথা হয় ‘পটুয়াখালীবাসী’ সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রায়হানের সঙ্গে। তিনি জানান, আপাতত পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খরচ করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ জনকে ইফতার দেয়া হয়। বিত্তবান ব্যক্তিরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে পুরো রমজান মাসজুড়ে অসহায় মানুষদের ইফতার দিতে পারব।

তিনি আরও জানান, রমজান মাসের এই আয়োজনে যে কেউ সহযোগিতা করে এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন।

এ বিভাগের আরো খবর