ভোরবেলা সেজেগুজে ফুল সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়ে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা। তারপর সেই ফুল চেঙ্গী নদীতে ভাসিয়ে শুরু হয় বিজু উৎসব।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের খবংপুজ্যা গ্রামে প্রতি বার এভাবেই পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর বরণ করেন চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ। চৈত্রের শেষের আগের দিন শুরু হয় উৎসব। চলে তিন দিন ধরে।
ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসুক ও মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে বরণ করে নতুন বছরকে। প্রায় এক সপ্তাহ উৎসবে মেতে থাকেন পাহাড়িরা।
এ বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সম্মিলিতভাবে কোনো আয়োজন হয়নি। যা করা হচ্ছে সব ব্যক্তি উদ্যোগে। করোনার কারণে গত বছরও হয়নি বৈসাবি (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু) উৎসব।
চাকমাদের বিজুর মূল উৎসব হয় বছরের শেষ দিন। এদিন প্রতিটি বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয়। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় পাচন দিয়ে। বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ এক ধরনের খাবার এই পাচন। তবে মহামারির কারণে এবার হবে না বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন।
খবংপুজ্যা গ্রামের সমাবর্তন চাকমা নিউজবাংলাকে জানান, এবার লকডাউনের কারণে সীমিত আকারে বিজু উদযাপন করবেন। অতিথি এলে ফিরিয়ে দেবেন না। তবে অন্য বারের মতো থাকবে না বড় আয়োজন।
স্কুলশিক্ষক তাপস চাকমা বলেন, ‘এটা তো একটা সামাজিক উৎসব। চাইলেই সব বন্ধ করে ঘরে বসে থাকা যায় না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু আয়োজন থাকছে।’
এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজনও করা হয়নি।
শুধু যে পাহাড়িরাই ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন তা নয়। তাদের সঙ্গে শামিল হতে সারা দেশ থেকে পর্যটকরা হাজির হন খাগড়াছড়িতে। এ বছর তারাও অংশ নিতে পারেননি।