বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোমেশ্বরীতীরে বসে শিল্পীরা আঁকলেন ‘সোনার বাংলা’

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৫:২৯

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে রঙের ক্যানভাসে ধরে রাখতে শিল্পীরা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন সোনার বাংলা। করোনার এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকলা একাডেমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে শিল্পীরা নিজেদের ছবি আঁকার পাশাপাশি ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ছবি এঁকেছেন।

নেত্রকোণার গারো পাহাড় ও সোমেশ্বরী নদীর তীরে বসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ জন শিল্পী ছবি আঁকলেন। রংতুলিতে তারা ফুটিয়ে তুলেছেন ‘সোনার বাংলা’।

জেলার দুর্গাপুরে গারো পাহাড় পাদদেশে পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী নদীর কোলে

ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ বিশ্ববিদ্যালয় (ইউডা) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শিল্পীরা ২৯ মার্চ সকাল থেকে শুরু ৩০ মার্চ রাত পর্যন্ত এ ছবি একেঁছেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে রঙের ক্যানভাসে ধরে রাখতে শিল্পীরা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন সোনার বাংলা। করোনার এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকলা একাডেমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে শিল্পীরা নিজেদের ছবি আঁকার পাশাপাশি ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ছবি এঁকেছেন।

ছবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার চিরায়ত রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পীরা বলছেন, সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার ছবি আঁকতে পেরে তারা গর্বিত, আনন্দিত।

শিল্পী অরুপ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ৫০ জন শিল্পী ছবি একেঁছি। এই সময় নির্ধারণের কারণ হচ্ছে স্বাধীনতার মাস। সেই সঙ্গে সুবর্ণজয়ন্তী। এই জল, কাদা, মাটি, প্রকৃতির অনুভূতি আঁকতে পেরে ভাগ্যবান আমরা।’

আরেক শিল্পী প্রদীপ্ত বালা। তিনি পাহাড়িকন্যা সোমেশ্বরীর জলঘেঁষে বসে ছবি আঁকছিলেন আপন মনে। এ সময় তিনি বলেন, ‘সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রকৃতিকে অবজারভ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার নদী, পাহাড়, প্রকৃতিকে ক্যানভাসে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ এক অনন্য ফিলিংস।

‘ইট পাথরের শহুরে জীবনের পাশে এই জল, কাদা জীবনকে রাঙিয়ে তুলেছে। এখানের এই রং সাথে বয়ে নিয়ে যাব জীবনের সুন্দরের জন্যে।’

তার পাশে বসেই ছবি আঁকছিলেন আদনান হাবিব। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেশের প্রতি ভালোবাসা, প্রকৃতির নদী, পাহাড়, মাটি, মানুষ ক্যানভাসে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’

শিল্পী লাইজু আক্তার বলেন, ‘আমরা শিল্পী হিসেবে নবীন। এখনও শিক্ষার্থী। তবু প্রাণের সবটুকু দিয়ে আঁকার চেষ্টা করছি।’

ইউডা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক কানিজ সোহানী ইসলাম বলেন, ‘দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতেই এই ছবি আঁকা। আর এই ছবি বাংলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা নদীর সঙ্গে থেকে দেশকে ভালোবেসে ফিল করে সোনার বাংলাদেশের ছবি আঁকছে।

‘এই সোমেশ্বরী নদী, মাটি এটাই আমাদের দেশ। দেশকে ক্যানভাসে তুলে ধরেছে। এই যে চর্চাটা এটা আমাদের অনেক আশাবাদী করে।’

ইউডা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, ‘এ দেশের মানুষ সবাই স্বপ্ন দেখি আমাদের এ দেশ সোনার বাংলাদেশ। আমরা সোনার বাংলাদেশের পথেই হাঁটছি। এই কারণেই আমাদের প্রত্যেকের যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ববোধ রয়েছে।

শুধু সরকার না আমরা প্রত্যেকেই সোনার বাংলা গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারি। দেশপ্রেমের জায়গাটিতে আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করতে পারি। স্বাধীনতার ঋণ পরিশোধ করতে পারব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যে ৫০ জন ছবি এঁকেছে তারা বুকে ধারণ করে নিয়ে গেছে সোনার বাংলাকে। দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত হয়েছে। তারাই ছড়িয়ে দেবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।’

এ বিভাগের আরো খবর