স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার প্রত্নস্থলগুলোর আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে। কোটবাড়ি শালবন বৌদ্ধবিহারের গেটের সামনে গত বৃহস্পতিবার ছয় দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
প্রদর্শনীতে শালবন বৌদ্ধবিহার ছাড়াও কুমিল্লায় সংরক্ষিত আরও ৩২টি পুরাকীর্তির ছবি স্থান পেয়েছে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া পুরাকীর্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে নবাব ফয়জুন্নেসার বাড়ি, সতেররত্ন মন্দির, চণ্ডীমুড়া মন্দির, ইটাখোলা মুড়া, রুপবান মুড়া, রানির কুটি ও শচীন দেব বর্মণের বাড়ির ছবি।
প্রদর্শনীতে আসা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ জামান বলেন, ‘এ ধরনের প্রদর্শনী ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহ বাড়াবে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোর্শেদ রায়হান বলেন, পুরাকীর্তির আলোকচিত্র প্রদর্শনী প্রশংসনীয় উদ্যোগ। দুইভাবে এগুলো প্রকাশ পায়। একটি হচ্ছে গবেষণা জার্নালে। আরেকটি হচ্ছে উন্মুক্ত প্রদর্শনীর মাধ্যমে। উন্মুক্ত প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ও গবেষকদের জানার আগ্রহকে বিস্তৃত করবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা কুমিল্লা। পুরাকীর্তির আলোকচিত্র তারই প্রমাণ। জেলাটিতে প্রত্ন ট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসন কাজ করবে।