বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

  • প্রতিনিধি, জাবি   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২২:৩৩

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। তা হলো- অবিলম্বে খুনি-দোসরদের চিহ্নিত করে গঠনমূলক সরকারি মামলা নিশ্চিত করা, সাতদিনের মধ্যে সারাদেশের খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা এবং তিন মাসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশব্যাপী জুলাই মাসে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গুলি ও গণহত্যায় জড়িত খুনি ও দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ‌এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে।

হতাহতদের পরিবার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।

সোমবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে ‘জুলাই গণহত্যা বিচার নিশ্চিত পরিষদ’ ব্যানারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রায় ১৫ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো- অবিলম্বে খুনি-দোসরদের চিহ্নিত করে গঠনমূলক সরকারি মামলা নিশ্চিত করা, আগামী সাতদিনের মধ্যে সারাদেশের খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা এবং তিন মাসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দেড় মাস পরও জুলাইয়ে সারা দেশে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এটা আমাদের ও বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জার। এমনকি সারা বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের জন্যও লজ্জার৷’

তিনি আরও বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি না দেখা দিলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। সাভার অঞ্চলে ১০০ জনের বেশি শহীদ হয়েছেন। কিন্তু একজন অপরাধীও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা যদি অগ্রগতি না দেখায় তাহলে আমরা থানা অবরোধ, সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাভারে নিহত মো. শ্রাবণ গাজীর বাবা মো. মান্নান গাজী ও আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির অংশ নেন।

শহীদ আলিফের বাবা বলেন, ‘এখনও খুনিরা বুক ফুলিয়ে হাঁটছে। সরকার তাদেরকে এখনও আইনের আওতায় আনেনি। জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা হোক।’

শ্রাবণ গাজীর বাবা বলেন, ‘সরকার গঠনের অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও আমার মতো ছেলে হারানো পিতা-মাতারা তাদের সন্তান হত্যার বিচার পাচ্ছে না। অবিলম্বে খুনিদের বিচার নিশ্চিতের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর