বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়িতে এখন কিন্ডারগার্ডেন স্কুল

  • ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি   
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:১৯

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়িতে এখন কিন্ডারগার্ডেন স্কুল। ভৈরবের কৃতি সন্তান জিল্লুর রহমানের জন্মস্থান শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। তিনি স্বাধীনতার পর ৫ বার কিশোরগঞ্জ-৬ ( ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারিখে সাবেক সরকারের পতন ঘটলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যায়। সেই সময়ে দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থায় সারাদেশের মতো জিল্লুর রহমানের নিজ বাসভবনটি দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে। ঘটনার দিন তার বাসভবনে কেউ ছিল না। এমনিতেই তার বাসায় কেউ থাকত না। তবে তিনি ২০০৯ সালে দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন তার আসনে সংসদ সদস্য হন ৪ বার। পাপন বিসিবি সভাপতিও ছিলেন তখন। রাজনৈতিক কারণে পাপন মাঝেমধ্যে ভৈরবের পৈতৃক বাসায় আসা যাওয়া করতেন। মূলত জিল্লুর রহমান ঢাকায় গুলশানের নিজ বাসভবনে থাকতেন রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে। এ কারণে তার পরিবারের সবাই গুলশানের বাসায় বসবাস করতেন। একজন কেয়ারটেকার ভৈরবের বাসভবন দেখাশুনা করত। তার বাসভবনটি আইভি ভবন নামে পরিচিত। তার স্ত্রী মরহুম আইভি রহমানের স্মৃতি স্বরুপ বাসভবনের নাম।

৫ আগস্টের পর পাপনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা পাপন সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তার ভৈরবের বাসভবনটি ৫ আগস্ট বিকেলে দুর্বত্তরা ভাঙচুর- লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করলে প্রায় এক বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। যদিও তার বংশধর আছে কিন্ত কেউ বাড়িতে যায়নি বা সংস্কার করেনি বাসভবনটি। বাসার প্রধান গেইটটি তালাবদ্ধ থাকত। অনেক উৎসুক মানুষ বাড়ির বাইরে থেকে পরিত্যক্ত বাড়িটি দেখত।

বর্তমানে হঠাৎ এলাকাবাসী ও গণমাধ্যম কর্মীদের চোখে পড়ল তার বাসভবনে কিন্ডারগার্ডেন স্কুল। পরে খবর নিয়ে জানা গেল তার বাসভবনটি সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্ডেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। জিল্লুর রহমানের বংশধর মরহুম তারা মিয়ার ছেলে নঈম আহমেদ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পার্টনার। কিন্ডারগার্ডেন স্কুলটির মূল মালিক ভৈরবের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যক্ষ আবদুল বাসেত। তার পার্টনারের সহায়তায় বাসভবনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তবে নিচতলাটি ভাড়া নিয়ে স্কুল পরিচালনা করা হলেও দুতলা ভাড়া দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে কিন্ডারগার্ডেন মালিক অধ্যক্ষ আবদুল বাসেতের সাথে প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্কুলটি ১৯৮৭ সাল প্রতিষ্ঠিত করি। তখন জিল্লুর রহমানের চাচাত ভাই তারা মিয়া আমার পার্টনার ছিল। তিনি মারা গেছেন। এখন তার ছেলে নঈম পার্টনার হিসেবে আমার সাথে আছে। নঈম জিল্লুর রহমানের ওয়ারিশের কারো সাথে আলাপ করে বাড়িটি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। ৫ আগস্টের পর বাসভবনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে দুর্বৃত্তরা। ভৈরবের কৃতি সন্তান জিল্লুর রহমান ছিলেন অহিংস নেতা। তিনি কারো ক্ষতি করেছেন আমার জানা নেই। বাসভবনটির সংস্কার মেরামত করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এটাকা আমি ভাড়া থেকে কর্তন করে নিব। এভাবেই কথা হয়েছে। তবে আমি নিচতলা ভাড়া নিলেও দুতলা ভাড়া নেইনি। তিনি বলেন বাসভবনটি শিক্ষার্থীদের পদচারণায় এখন ভাল থাকবে এবং আমিও একটি ভাল বাড়ি পেলাম ভাড়া হিসেবে। এ কারণে আমি বাসভবসটি স্কুলের জন্য ভাড়া নিয়েছি।

স্কুলের পার্টনার নঈম আহমেদের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য জিল্লুর রহমানের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তার দুজন মেয়ে আছে, কিন্ত তারা কোথায় আছে জানা নেই বা তাদের ফোন নাম্বার নেই। এ কারণে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর