বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবি ছাত্রলীগে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৯:১৯

বিবাদমান পক্ষ দুটি হলো বিজয় ও সিক্সটি নাইন। বিজয় গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।

এক কর্মীর পক্ষ ত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিবাদমান পক্ষ দুটি হলো বিজয় ও সিক্সটি নাইন। বিজয় গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজয় পক্ষের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷ পরবর্তীতে দুপুর একটার দিকে তা শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে, বুধবার রাতে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।

ছাত্রলীগের সূত্র জানায়, বিজয় পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যুক্ত হন। এ নিয়ে ওই শিক্ষাবর্ষের সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এর জেরে বুধবার রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে গেলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরাই একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় রাতেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে বৃহস্পতিবার বিজয় গ্রুপের এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ক্যাম্পাসে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়, দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাদের মাথায়, চোখের নিচে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ইটের আঘাত লেগেছে। উন্নত উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় গ্রুপের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সিক্সটি নাইন গ্রুপ ইচ্ছা করেই ঝামেলা করছে। রাতের ঘটনায় সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও তারা আজ আবার আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে।’

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ‘বিজয় গ্রুপের পক্ষ থেকে বারবার উসকানি দেয়া হচ্ছে। আমরা এখন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’

তবে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় এই ধরনের সংঘর্ষগুলো বার বার হচ্ছে বলে অভিমত সাবেক এই নেতার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। আমরা দুই পক্ষকে নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর