চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে সপ্তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে মঙ্গলবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতি।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বুধ, বৃহস্পতি ও রোববার গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে চবি শিক্ষক সমিতি। পরের সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে ‘কেমন চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক সংবাদ প্রদর্শনী করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘আগামী তিনদিন আমরা গণসংযোগ করব। গণসংযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে হবে। এরপর দুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলোর প্রদর্শনী হবে৷
‘শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের গণসংযোগ চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই, শিক্ষামন্ত্রীসহ চট্টগ্রামের আরও যারা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বশীল মন্ত্রীবর্গ আছেন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা দেখা করবো।’
আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্যের কাছে যায় চবি শিক্ষক সমিতি। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন।
তবে ওই দাবি না মানায় পরদিন থেকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। টানা তিন দিন অবস্থান কর্মসূচি শেষে চতুর্থ দিন প্রতীকী গণঅনশন করেন সমিতির সদস্যরা। এরপর শীতকালীন ছুটি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। রোববার থেকে আবার লাগাতার কর্মসূচির ডাক দেয় শিক্ষক সমিতি।