কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মামুনুর রহমান।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অনুষদ ভবনের নিচতলায় নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
১২১টি ভোট পেয়ে আওয়ামীপন্থি শাপলা ফোরাম সদস্যদের মনোনীত প্যানেল থেকে সভাপতি এবং সমসংখ্যক ভোট পেয়ে আওয়ামীপন্থি শাপলা ফোরাম মনোনীত প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে মোট ৪০৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২৮২ জন, যার মধ্যে বাতিল বলে গণ্য হয় ৬টি ভোট। এর আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষদ ভবনের ৪২৭ নম্বর কক্ষে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচিত অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ধনঞ্জয় কুমার, কোষাধ্যক্ষ সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম আব্দুল্লাহ।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে নির্বাচিত সদস্য যথাক্রমে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক আহসান-উল-আম্বিয়া, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে.এম. শরফুদ্দিন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার, আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহজাহান মন্ডল, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, আল ফিকহ বিভাগের অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মাজেদুল হক।
নির্বাচনে প্রগতিশীল আওয়ামীপন্থি শাপলা ফোরাম মনোনীত প্যানেলের বাইরে গিয়ে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা ভিন্ন আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করলে ইবিশিস নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে শাপলা ফোরাম ৮টি পদ এবং শাপলাপন্থি ভিন্ন প্যানেল পায় ৭টি পদ। এ ছাড়াও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন জামায়াতপন্থি সবুজ প্যানেল এবং স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌহিদুল আনাম।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা ও অগ্রগতির জন্য কন্ট্রিবিউট করা, সার্বিকভাবে একাডেমিক পরিবেশ ভালো রাখা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে আমাদের শিক্ষক এবং ছাত্রদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করবো।
সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষক সমাজের উন্নয়নে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ নিয়ে আমরা কাজ করব। সবার মতামত নিয়ে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কে আরও সুন্দর করা যায় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।