বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডালের বাটি নিয়ে এবার সংঘর্ষে চবি ছাত্রলীগ

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:২৪

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের একটি হোটেলে খাবার শেষে টেবিল থেকে বের হবার সময় সিক্সটি-নাইন গ্রুপের কর্মী আজমিরের হাতের ধাক্কা লেগে টেবিলের ওপরে থাকা ডালের বাটি পড়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে বিজয় গ্রুপের কর্মী মাহিরের সঙ্গে আজমিরের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দুই গ্রুপে উত্তেজনা ছড়ালে বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় কর্মীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা যেন থামছেই না। বেশ কিছুদিন ধরেই শাখা ছাত্রলীগের গ্রুপ ও উপগ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে কমিটি পর্যন্ত বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এবার খাওয়ার সময় ডালের বাটি পড়ে যাওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের কর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চবি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।

চবি ক্যাম্পাসে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সংঘর্ষে জড়ানো শাখা ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি হলো সিক্সটি নাইন ও বিজয়।

সিক্সটি নাইন গ্রুপটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং বিজয় গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সংঘর্ষের সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহ জালাল ও আমানত হলের সামনে এবং বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের একটি হোটেলে খাবার শেষে টেবিল থেকে বের হবার সময় সিক্সটি-নাইন গ্রুপের কর্মী আজমিরের হাতের ধাক্কা লেগে টেবিলের ওপরে থাকা ডালের বাটি পড়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে বিজয় গ্রুপের কর্মী মাহিরের সঙ্গে আজমিরের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দুই গ্রুপে উত্তেজনা ছড়ালে বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় কর্মীরা।

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, ‘আমাদের এক ছোট ভাই আজমিরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের কিছু ছেলে গায়ে হাত তুলেছে। আমরা তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ছেলেদের হলে রেখেছিলাম। পরে ওদের ছেলেরা সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের সামনে এসে উস্কানিমূলক আচরণ করে। ওদের ছেলেরা অগ্রসর হলে তার প্রেক্ষিতে আমাদের ছেলেরা প্রতিহত করে। আমরা সিনিয়ররা পরিস্থিতি শান্ত করে সংঘর্ষ আর বড় হতে দেই নাই।’

বিজয় গ্রুপের নেতা শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘এটা ভুল বোঝাবোঝির কারণে হয়েছে। আমি চেয়েছি ঝামেলাটা না বাড়ানোর জন্য। কিন্তু বিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোতিদভাবে ঝামেলা করতে আসে। পরে আমাদের হলের সবাই প্রতিহত করে। তাদের সিনিয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম বলেন, ‘দুই পক্ষ এখন শান্ত আছে। সবাইকে হলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। খাবার হোটেল থেকে কর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত ১৯ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। সবাই পাথরে আঘাত পেয়েছে, গুরুতর আহত কেউ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর