রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের এক অধ্যাপকের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্রের মুক্তির দাবি’তে ভিন্নধর্মী এক পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুজন শিক্ষক, এক শিক্ষার্থী এবং এক মুক্তিযোদ্ধা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শনিবার এ পদযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় শেষ হয়।
‘সংঘাত নয় শান্তি চাই! গণতন্ত্রের মুক্তি চাই’ লেখা প্লেকার্ড নিয়ে পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন রাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল হক, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী ও রাবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম রমজান এ পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন।
পদযাত্রাকালে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র কখনওই এক জিনিস নয়। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চরমভাবে নিস্পেষিত হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই গণতন্ত্র মেরামতের দাবিতে আজকে আমাদের এই নির্দলীয় নীরব পদযাত্রা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে, মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং বিরোধী দল ও মতের প্রতি দমন-পীড়ন মাত্রা ছাড়িয়েছে। আমাদের এই নাজুক অবস্থার সুযোগে বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তির কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। আজ বাংলাদেশকে নিয়ে অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
‘দেশ ক্রমশ একটি রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। আমরা সংঘাত চাই না, দেশে শান্তি চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। এ দেশ আমাদের, এ স্বাধীনতা আমাদের, সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে গণতন্ত্র রক্ষায়।’
নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি অন্যায় পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ হন, তবে আপনি নিপীড়কের পক্ষ বেছে নিয়েছেন। আমরা দেশকে ভালোবাসি, গণতন্ত্রের গভীর অসুখে আমরা ব্যথিত।’