২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকার ভিত্তিতে প্রথম ধাপের ভর্তি কার্যক্রম ২২ জুলাই থেকে শুরু হবে। ভর্তি কার্যক্রম ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিভাগসহ প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হবে।
মঙ্গলবার গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২২ জুলাই থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে, যা ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। ২২ জুলাইয়ের আগেই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মেধাতালিকা প্রকাশ করবে। ইতোমধ্যে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি নির্দেশিকা প্রকাশ করা শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীরা নির্দেশিকা মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবে। প্রথম ধাপের ভর্তি শেষে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
ফরিদ আরও জানান, প্রথম মেধা তালিকায় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের তালিকা প্রকাশ হবে। এরপর দ্বিতীয় মেধাতালিকা ও মাইগ্রেশনের সুযোগ দেয়ার পরেই ক্লাস শুরু হবে। এবার সবকিছু কেন্দ্রীয়ভাবে হওয়ায় আসন ফাঁকা থাকার সুযোগ নেই।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৬ আগস্ট (বুধবার) থেকে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। এর আগেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হবে।’
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম তিন ধাপেই শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির। ভর্তি প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ২২ থেকে থেকে ২৫ জুলাই, দ্বিতীয় ধাপে ২৮ থেকে ৩০ জুলাই এবং তৃতীয় ধাপে ৩ থেকে ৫ আগস্ট ভর্তি নেয়া হবে। ১৬ আগস্ট থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষে পাঠদান শুরু হবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ২০ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০০ টাকা ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগ পছন্দক্রম দেন। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।
এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।