বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিক্ষায় অনেক ভাগ, এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি’

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২১ ১১:৫৭

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একমুখী শিক্ষার পরিবর্তে হরেক রকমের শিক্ষা আমরা পেয়েছি। শিক্ষায় এত রকমের ভাগ, এখন সেটিকে একটি জায়গায় নিয়ে আসা রাতারাতি সম্ভব নয়। সব ধরনের শিক্ষা বাতিল করে দিয়ে এক ধরনের শিক্ষায় যাওয়া শিগগিরই সম্ভব নয়।

শিক্ষার নানা ধরনের ভাগ থেকে একমুখী করার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-ইরাবের প্রকাশনা ‘কলম’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একমুখী শিক্ষার পরিবর্তে হরেক রকমের শিক্ষা আমরা পেয়েছি। শিক্ষায় এত রকমের ভাগ, এখন সেটিকে একটি জায়গায় নিয়ে আসা রাতারাতি সম্ভব নয়। সব ধরনের শিক্ষা বাতিল করে দিয়ে এক ধরনের শিক্ষায় যাওয়া শিগগিরই সম্ভব নয়।

‘তবে যে যে ধারায় থাকুক না কেন, কোর বা মূল সাবজেক্ট যদি একই হয় তার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটি জায়গায় নিয়ে আসতে পারব।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে যত সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোর সব শিক্ষক করোনা টিকা নিয়েছেন। দেশে ২০ হাজার ২২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে ৩ লাখ ৬৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা টিকা নিয়েছেন।

এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন দিন আগে পাঠানো হিসাব। চলমান টিকাদান কার্যক্রমে শতভাগ শিক্ষককে টিকার আওতায় আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিকার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে ৩০ হাজারের করোনার টিকা দেয়া হয়ে গেছে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যার যে ধরনের প্রতিভা রয়েছে, সেটি বিকশিত করতে এক ধরনের পরিবেশ তৈরি করা হবে। পরীক্ষায় জিপিএ বেশি পাওয়ার চাপ থাকবে না। জিপিএ বেশি পাওয়ার প্রবণতা থেকে সবাইকে বের করে আনা হবে। সে জন্য নতুন ধরনের পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হচ্ছে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা কী শিখছে সেটা নিজে বলতে পারছে না। কারণ, আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হচ্ছে। আগে ক্লাস শিক্ষকরা নিয়োগের তিন থেকে চার বছর পর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সুযোগ পেতেন।

‘বর্তমানে সেটি পরিবর্তন করা হচ্ছে। কোনো শিক্ষক প্রশিক্ষণবিহীন অবস্থায় পাঠদানের জন্য ক্লাসে যাবেন না, সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমে সকল শিক্ষককে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ, এখানে নগরায়ণের শিক্ষকরা সুবিধা বেশি পাচ্ছেন। শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। আমরা অনেক ক্ষেত্রে অনেক আইন দেখি। কিন্তু সেটির মনিটরিং এবং বাস্তবায়ন জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘করোনায় শিক্ষা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পোষাতে প্রণোদনা প্রয়োজন। কারণ, শিক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষায় কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, করোনায় সেটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করেছি।

‘এসব স্কুলে দুই হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর বেসরকারি স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আমরা ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে তারা নিয়োগ পাবেন।’

কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পিএসসির পক্ষ থেকে ১ হাজার ২০০ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তা নিয়োগ হবে।’

এ ছাড়া সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষকের নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে কাজ চলমান রয়েছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

দৈনিক বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু বলেন, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে শিক্ষায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থী বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষায় বড় আকারের প্রণোদনা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে।’

দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, করোনাকালীন সংকট নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের একটি সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ দরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাব্বির নেওয়াজ। সঞ্চালনা করেন ইরাবের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার শরীফুল আলম সুমন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলম ম্যাগাজিনের আহ্বায়ক দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক, ইরাবের যুগ্ম সম্পাদক ও ম্যাগাজিনের সদস্যসচিব মীর মোহাম্মদ জসিম।

এ বিভাগের আরো খবর