বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই’

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ০১:৩১

ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকেই সব সময় গুরুত্ব দিয়েছেন। ১৯৪৯-এ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু যখন আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও শিক্ষাকে সম্মুখসারিতে রাখা হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা খাতে জিডিপির চার ভাগ প্রয়োজন, বর্তমানে তা তিন ভাগে আছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সব শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।

মঙ্গলবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতি গঠনে শিক্ষার ভূমিকা: বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ১২ দিনের মাথায় টেলিভিশনে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। অনলাইন ক্লাস অস্বীকার করার সুযোগ নেই। শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমেও গুরুত্ব দিতে হবে। করোনার কারণে যেটি আমাদের শুরু করতে আরও কয়েক বছর লেগে যেত, তা আমরা এখন শুরু করে ফেলেছি।’

ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকেই সব সময় গুরুত্ব দিয়েছেন। ‘৪৯-এ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু যখন আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও শিক্ষাকে সম্মুখসারিতে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা খাতে জিডিপির ৪ ভাগ প্রয়োজন, বর্তমানে তা ৩ ভাগে আছে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে তিনি বলেন, আমাদের প্রশিক্ষিত শিক্ষক দরকার। মানসম্মত শিক্ষা দিতে হলে শিক্ষককে প্রশিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সকল ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।

ওয়েবিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচক হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার।

ওয়েবিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক ড. সুব্রত চন্দ্র রায় ও সহযোগী অধ্যাপক নাফিস আহমদ। এ সময় বিভাগের অন্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

‘ইংরেজি এখন আর ভাষা নয়, এটি এখন হাতিয়ার। আমাদের ভাষা শিক্ষার যে পদ্ধতি রয়েছে, এতদিন ধরে তার উল্টোটা চলে আসছে। আমরা শতকরা কতজন সঠিকভাবে বাংলা বা ইংরেজিতে বলতে পারি তা জানা দরকার। আমাদের শুনতে শিখাটা জরুরি। শোনার যে দক্ষতা সেটি এখনও ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারিনি। আমাদের নিজেদের ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষা শিক্ষার প্রতিও মনোযোগী হতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর