বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির হল না খুললে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ২০:১৫

‘আজকে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় শিক্ষামন্ত্রী নিজেই কয়েকবার ডিসকানেকটেড হয়ে গিয়েছেন। গতকাল বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজেও টানা তিনবার ডিসকানেকটেড হন। সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে তাদের ইন্টারনেটের যদি এমন বেহাল দশা হয়, সে ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা চান ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবে। তিনি ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলে রোববার থেকে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন তারা।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানানো হয়।

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৭ মে হল ও ২৩ মে ক্লাস শুরুর কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে মার্চের শেষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর পরিকল্পনা পাল্টে যায়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন। এই ছুটি বর্ধিত করার পেছনে তিনি করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিনের অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেছেন। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে কল-কারখানা, অফিস, শিল্পপ্রতিষ্ঠান; এমনকি গণপরিবহন কোনো কিছুই থেমে থাকেনি।’

তিনি বলেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর ভ্যাকসিন নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য সরকারি নীতিনির্ধারক ও তাদের করপোরেট প্রতিষ্ঠানই দায়ী।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যাসহ নানা পথ বেছে নিচ্ছেন দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর চাকরি ও টিউশনও নেই।

গত ৫ মাসে প্রায় ৩৯ জন ঢাবি শিক্ষার্থী নিজ এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন। ৮০ জন শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ, ঢাবি ক্যাম্পাসেই ঢাবি ছাত্র হাফিজুর রহমানের অস্বাভাবিক ও নির্মম মৃত্যু আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাই এসবের জন্য দায়ী।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাস চলছে অনলাইনে। পরীক্ষাও এভাবেই নেয়ার আলোচনা চলছে।

তবে ইন্টারনেটের গতি ও মানের কারণে এটা সম্ভব নয় বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আজকে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় শিক্ষামন্ত্রী নিজেই কয়েকবার ডিসকানেকটেড হয়ে গিয়েছেন। গতকাল বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজেও টানা তিনবার ডিসকানেকটেড হন। সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে তাদের ইন্টারনেটের যদি এমন বেহাল দশা হয়, সে ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন?’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন ‘পুলস ওয়ান’ এর এক গবেষণা নিবন্ধ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী হতাশায় রয়েছেন, ৭১ শতাংশ উদ্বেগ এবং ৭০ শতাংশ মানসিক চাপে।

মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও হল খোলার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে মানববন্ধন করেন। তখন তারা শিক্ষামন্ত্রীর বুধবারের সংবাদ সম্মেলনের পর কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান।

এ বিভাগের আরো খবর