বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন শেয়ার, সর্বোচ্চ দামে হাতবদল কেবল দুটি

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২১ ১৯:১৭

১০টা ৪৮ মিনিটে একবারে দুটি শেয়ার লেনদেন হয়। প্রথম দিন আইপিও দরের ৫০ শতাংশ বেশিতে ১৫ টাকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ১৪১টি শেয়ার কেনার আদেশ ছিল। কিন্তু কেউ শেয়ার ছাড়তে রাজি হয়নি। কিন্তু কেউ দেশ জেনারেলের শেয়ার বিক্রি করেনি। দ্বিতীয় কার্যদিবসে আরও ৫০ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ২২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দাম বাড়ার সুযোগ আছে।

প্রথম দিন মাত্র দুটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সদ্য তালিকাভুক্ত দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমেটেডর। সম্প্রতি তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রথম দিন এত কম শেয়ার এর আগে কখনও লেনদেন হয়নি।

প্রথম দিন দাম বাড়ার সুযোগ ছিল ৫০ শতাংশ। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত হওয়ায় সর্বোচ্চ ১৫ টাকায় বিক্রি হতে পারত শেয়ারটি, হয়েছেও তাই।

তবে এই ১৫ টাকায় আরও ১ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ১৪১টি শেয়ার কেনার আদেশ ছিল। কিন্তু কেউ শেয়ার ছাড়তে রাজি হয়নি।

১০টা ৪৮ মিনিটে একবারে দুটি শেয়ার লেনদেন হয়। তারপর আর কেউ দেশ জেনারেলের শেয়ার বিক্রি করেনি।

নতুন কোনো শেয়ার তালিকাভুক্ত হলে প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ করে দাম বাড়ার সুযোগ আছে। এই হিসাবে আগামী বুধবার দ্বিতীয় কার্যদিবসে ২২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ার সুযোগ আছে।

এত অল্প লেনদেন এটাই প্রথম

আগামীতে শেয়ারদর আরও বাড়বে এমন প্রত্যাশা থেকেই লেনদেনের প্রথম দিন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে আগ্রহী হননি। যেখানে এক কোটির বেশি শেয়ার কেনার জন্য অর্ডার ছিল।

কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য অতি সম্প্রতি কিছু কিছু ব্রোকার হাউস থেকে ভ্রান্ত শেয়ার কেনার অর্ডার দেয়ার অভিযোগ পেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ও রবি আজিয়াটার শেয়ারের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নজরদারি বাড়ানো হয়।

গত বছরের ২৪ আগস্টে পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেন শুরু করে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স। এদিন আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি দামে কোম্পানিটির মোট ৮৭ হাজার ৭৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়ে। দ্বিতীয় দিন ২৫ আগস্ট লেনদেন হয়েছিল ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬৬টি শেয়ার।

২১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেনে আসে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স। এই কোম্পানিটির প্রথম দিন আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি দামে লেনদেন হয় ৫০০টি শেয়ার। দ্বিতীয় দিন লেনদেন হয় ৬০০টি শেয়ার।

রবি আজিয়াটার লেনদেন শুরু হয় ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন রবির ১ লাখ ১৭ হাজার ১৬২টি শেয়ার লেনদেন হয় ১৫ টাকায়।

এরপর শুক্র ও শনিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় ২৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কার্যদিবসে রবির মোট ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫১টি শেয়ার হাতবদল হয় সাড়ে ২২ টাকায়।

নতুন বছরের ২০২১ জানুয়ারির ১৯ তারিখ লেনদেন শুরু করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। প্রথম দিন আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশিতে ৪২ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেনে কোম্পানিটির ৮০৫টি শেয়ার লেনদেন হয়।

দ্বিতীয় দিন আরও বেশি করে হাতবদল হয় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭০৮টি শেয়ার।

ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ লেনদেনে আসে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। প্রথম দিন আইপিও দামের ৫০ শতাংশ বেশি অর্থে ৮১ টাকায় ৭৩০টি শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় কার্যদিবসে ৯১ থেকে ১১৭ টাকায় হাতবদল হয় ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯১টি শেয়ার।

১০ ফেব্রুয়ারি লেনদেনে আসে তওফিকা ফুড অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড (লাভেলো)। প্রথম দিন আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি দরে ১৭ হাজার ৯০৮টি শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় দিন আরও ৫০ শতাংশ বেশি দরে ২২ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয় ৫০ হাজার ১৯১টি শেয়ার।

২৩ ফেব্রুয়ারি লেনদেনে আসে ই-জেনারেশন লিমিটেড। প্রথম দিনে আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি দরে ১৫ টাকায় কোম্পানিটির মোট ২০১টি শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় দিন আরও ৫০ শতাংশ বেশি দরে ২২ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয় ৯ হাজার ৩৩২টি শেয়ার।

৯ মার্চ পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেনে আসে লুব রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। প্রথম দিন আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি কোম্পানিটির ৪২১টি শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় দিন আরও বেশি দামে লেনদেন হয় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ২৭টি শেয়ার।

তবে ব্যতিক্রম ব্যাংক খাতের এনআরবিসি ব্যাংক বা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে ২২ মার্চ। প্রথম দিনেই ব্যাংকটির লেনদেন হয় ৩ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৫টি শেয়ার। আইপিও দামের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশিতে ১৫ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও পরে তা কমে ১৩ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়।

এরপর দুই কার্যদিবসে দাম যথাক্রমে ৬০ ও ৮০ পয়সা করে কমে যায়। দ্বিতীয় দিনে লেনদেন হয় ৮৮ লাখ ৮৬ লাখ ৬৯৫টি শেয়ার।

কী বলছেন বিনিয়োগকারীরা

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকে বেশি। ১০ টাকায় শেয়ার পাওয়ার আগ্রহ থেকেই মূলত প্রথম দিনে অনেক বেশি অর্ডার দেখা যায়।

‘অনেক শেয়ার কেনার অর্ডার দেখে যারা আইপিওতে শেয়ার পেয়েছেন তারাও তখন আর শেয়ার বিক্রি করেন না। এই অর্ডারগুলো যে সত্যিকার অর্থে কেনার জন্য দিয়ে থাকে তা নয়। এমন প্রমাণ বিএসইসিও পেয়েছে।’

গত ছয় মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শুরুতে প্রতিটির দামও নিয়ন্ত্রণহীনভাব বাড়তে থাকে। আর দাম যত বাড়ে, শেয়ার বিক্রি হয় তত বেশি। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা ভাবেন আরও দাম বাড়বে। এ কারণে তারা আরও বেশি শেয়ার কেনেন।

পরে একপর্যায়ে যখন শেয়ারের দাম কমতে থাকে, তখন বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেজে রাগ ঝাড়েন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আর ডিএসইর সমালোচনা করেন।

আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখা উচিত। তা না হলে অধিক মূল্যে শেয়ার কিনে পরবর্তীতে লোকসান গুনতে হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর