বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাসপেন্স, থ্রিল, ড্রামা, অ্যাকশন, সবই থাকবে খেলার মধ্যে

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০

লক্ষ্ণৌর যে মাঠে এই বড় দুদলের ম্যাচটি হচ্ছে, এর আগে তেমন বেশি খেলা হয়নি ওখানে। আর যে কটি ম্যাচ হয়েছে, সবগুলোই ছিল লো স্কোরিংয়ের। বলাবলি হচ্ছে, এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে উইকেটের একটি নাকি লক্ষ্ণৌর উইকেট। এ কথা সত্যি হয়ে থাকলে দুদলের ক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।

মাঠে লড়াইয়ে নামার আগে দুই দলের ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি দুই রকমের। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় প্রচণ্ড চাপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা এ ছন্দ ধরে রাখতে চাইবে। তবে আহত সিংহের মতো গর্জে উঠে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে অস্ট্রেলিয়ানদেরও। ফলে দুদলের ধুন্ধুমার ক্রিকেট-যুদ্ধ হবে। দুদলের শক্তিশালী ব্যাটিং-বোলিংয়ে উত্তাপ-উত্তেজনাপূর্ণ ওয়ানডে ক্রিকেটের আসল আমেজ উপভোগ করতে পারব আমরা। এটাই আশা করছি।

লক্ষ্ণৌর যে মাঠে এই বড় দুদলের ম্যাচটি হচ্ছে, এর আগে তেমন বেশি খেলা হয়নি ওখানে। আর যে কটি ম্যাচ হয়েছে, সবগুলোই ছিল লো স্কোরিংয়ের। বলাবলি হচ্ছে, এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে উইকেটের একটি নাকি লক্ষ্ণৌর উইকেট। এ কথা সত্যি হয়ে থাকলে দুদলের ক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।

এ ধরনের উইকেটের আচরণ খুবই রহস্যময় হয়ে থাকে। পেস ও স্পিন সমানভাবে কাজ করতে পারে। আবার দেখা যেতে পারে ভিন্ন চিত্রও। তবে বিশ্বকাপের জন্য ভালো উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে কিউরেটরা তো চেষ্টা করেছে। এ উইকেটে উইনিং একাদশ হয়তো মাঠে নামাতে নাও পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে খেলা উচিত দলটির। কেননা ভারতের উইকেটে স্পিনে সব সময় অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের দুর্বলতা সবার জানা। এ ক্ষেত্রে মূল স্পিনার কেশব মহারাজের সঙ্গে তাবারিজ শামসি হতে পারেন সেরা পছন্দ। এ জন্য একজন পেসারকে একাদশের বাইরে রাখতে হবে তাদের। ডানহাতি পেসার জেরাল্ড কোয়েটজেকে বিশ্রাম দেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

বরাবরের মতোই দক্ষিণ আফ্রিকানদের ধারালো পেস বোলিং অ্যাটাক খুবই বিধ্বংসী। অজি ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নেবে। তবে তাদের জন্য বাজি ঘোড়া হতে পারেন ম্যাক্রো ইয়ানসেন। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার স্লোয়ার পিচে ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শদের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। নতুন বলে লাইন ও লেংথ নিয়ন্ত্রণে রেখে পাওয়ার প্লেতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন ইয়ানসেন।

কুইন্টন ডি কক, ভার দার ডুসেন ও এইডেন মারক্রাম যে সেরা ফর্মে আছেন, সেটি প্রথম ম্যাচে একসঙ্গে এই তিনজন সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে প্রমাণ দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবার তাদের ব্যাটে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখা যেতে পারে।

অন্যদিকে ইদানীং অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে হঠাৎ ধস নামার ঘটনা পুনঃপুনঃ ঘটছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে মিডল অর্ডার ব্যর্থ ছিল। মাত্র ৮৯ রান তুলতেই তাদের শেষ ৮টি উইকেটের পতন হয়। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এক উইকেটে ১৪০ রান তোলার পরও অজিদের ইনিংস থেমে যায় ২২৭ রানে গিয়ে।

এমতাবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ওয়ার্নার, স্মিথদের এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য ইতিবাচক মানসিকতা, দেখেশুনে বল বুঝে খেলা, ধৈর্য নিয়ে উইকেটে পড়ে থাকতে হবে তাদের। অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারে ফায়ার-পাওয়ারের যথেষ্ট অভাব দেখা যাচ্ছে। অ্যালেক্স ক্যারির সময়টা ভালো কাটছে না। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে জ্বলে উঠতে হবে। তবে তার বিকল্পও রয়েছে। জস ইংলিশকে বাজিয়ে দেখতে পারে দল। তবে আজকের ম্যাচে এই ঝুঁকি নেবে না অস্ট্রেলিয়া। ক্যামেরুন গ্রিন সংগ্রাম করছেন। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের জায়গায় একাদশে সেরা নির্বাচন হতে পারেন মার্কোস স্টয়নিস। তবে ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি। যদি ফিট থাকেন স্টয়নিস, তা হলে তাকে খেলালে অস্ট্রেলিয়া লাভবান হবে।

অন্যদিকে স্পিনে অ্যাডাম জাম্পার প্রতিই আস্থা রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে তারা পেস অ্যাটাকনির্ভর দল। এই বোলিংয়ে শক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টায় থাকবেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যাই হোক, কৌশল বদল করে একাদশে পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামতে পারে দুদল।

আমরা আগেও অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বড় ম্যাচ দেখেছি, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখেছি। আশা করি, এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর