বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুইয়ের সঙ্গে চৌদ্দর লড়াই

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:৪০

অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের মতে, নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে বড় চমক দিতে পারে। আমিও মনে করি, বাছাই পর্বে বড় পরীক্ষা দিয়ে আসা দলটি বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরেও নিজেদের প্রমাণ দিতে পারে। সম্পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে খেলবে ডাচরা। কারণ তাদের হারানোর কিছু নেই। ফলে নিজেদের দিনে বড় দলকে হারিয়ে দিতে পারে তারা।

অনেক ঝক্কি-ঝামেলার পর বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গেছে পাকিস্তান দল। সেখানে বাবর আজমদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। যাই হোক, প্রতিবেশী দেশ ভারতের মাটিতে শুক্রবার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।

আজ প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান সহজ প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে পেয়েছে। ক্রিকেটে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর অর্জনে দুই দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এ ম্যাচে আন্ডারডগ নেদারল্যান্ডস। কেননা এই কয়েক দিন আগেও আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল ছিল পাকিস্তান। বর্তমানে তারা দুই নম্বরে। বিশ্বকাপের মূল পর্বে সরাসরি খেলছে। অন্যদিকে র‌্যাঙ্কিংয়ে চৌদ্দ নম্বরে থাকা নেদারল্যান্ডস বাছাই পর্ব খেলে এখানে এসেছে।

অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিশ্বকাপের শুরুর লগ্ন থেকে খেলে আসা পাকিস্তান দল একবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, একবার রানার্সআপ হয়েছে; চারবার সেমিফাইনালে উঠেছে। অপরদিকে এর আগে মাত্র চারটি বিশ্বকাপ আসরে অংশ নেয়া ডাচরা গ্রুপ পর্বের গণ্ডিই পেরোতে পারেনি। অতীত সাফল্য ছাড়িয়ে শক্তি-সামর্থ্যের দিক দিয়েও নেদারল্যান্ডসের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে পাকিস্তান।

সব দিক থেকে আজকের ম্যাচে অনেক অনেক এগিয়ে থাকবেন ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুসের উত্তসূরিরা।

আমি মনে করি, বর্তমান পাকিস্তান দলটি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার সক্ষমতা রাখে, কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম নতুন করে ভাবাচ্ছে। গত এশিয়া কাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার কাছে যেভাবে হেরেছে তারা, তাতে চরম হতাশ হয়েছেন তাদের সমর্থকরা। বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তানিরা। তারপরও আমি মনে করি, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে তাদের।

এ কথা কেন বলছি? পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা হলো তাদের বিধ্বংসী পেস বোলিং ইউনিট, যা বিশ্বখ্যাত। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, হাসান আলিরা বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপে মুহূর্তের মধ্যে ধস নামাতে পারে। যদি নাসিম শাহ ইনজুরিতে না পড়তেন, তা হলে পাকিস্তানের আরও শক্তি বাড়ত। তাদের স্পিন বিভাগে কিছুটা দুর্বলতা থাকলেও ভারতের মাটিতে জ্বলে উঠতে পারেন শাদাব খানরা। অবশ্য ব্যাটিংয়ে সময়ের সেরা বাবর আজম বড় ভূমিকা রাখবেন। দুর্দান্ত ছন্দে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। এই নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটারেই এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান।

অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের মতে, নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে বড় চমক দিতে পারে। আমিও মনে করি, বাছাই পর্বে বড় পরীক্ষা দিয়ে আসা দলটি বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরেও নিজেদের প্রমাণ দিতে পারে। সম্পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে খেলবে ডাচরা। কারণ তাদের হারানোর কিছু নেই। ফলে নিজেদের দিনে বড় দলকে হারিয়ে দিতে পারে তারা।

নেদারল্যান্ডস দলটির বড় শক্তির জায়গা হলো তাদের বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার আছেন। ব্যাটে-বলে যারা ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন, কিন্তু তাদের সবচেয়ে যে বড় সমস্যা রয়েছে, সেটি হলো স্পিন খেলার দুর্বলতা।

স্পিনের সামনে ডাচদের অগ্নিপরীক্ষাই দিতে হবে, তবে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও বাস দি লিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠতে পারেন তারা।

ব্যাটে-বলে দলের সেরা অস্ত্র হতে পারেন বাস দি লিদ। ভারতের স্পিন বোলিং সহায়ক উইকেটে নজর কাড়তে পারেন লেগ স্পিনার আরিয়ান দত্ত। সব মিলিয়ে মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে খেলবে ইউরোপের দলটি। পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে অসম ক্রিকেটযুদ্ধ নয়, বরং আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উপভোগ্য ম্যাচ প্রত্যাশা করি।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক বাংলা

এ বিভাগের আরো খবর